ফেসবুকে শিক্ষাক্রম নিয়ে অপপ্রচার চালালেই আইনি ব্যবস্থা: এনসিটিবি
নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার চালালে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)।
তবে শিক্ষাক্রমের কোনো ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকলে তা জানালে অবশ্যই বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় সংশোধন ও পরিমার্জন করবে এনসিটিবি।
রোববার (৩ ডিসেম্বর) এনসিটিবির সচিব মোসা. নাজমা আখতারের সই করা ‘সতর্কীকরণ’ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানানো হয়।
এতে বলা হয়, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড প্রাক-প্রাথমিক হতে উচ্চমাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক প্রণয়নের একমাত্র জাতীয় প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশের মানসম্পন্ন শিক্ষা উন্নয়ন ও প্রসারে এ প্রতিষ্ঠান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। আমরা লক্ষ্য করছি, স্বার্থান্বেষী একটি গোষ্ঠী সম্প্রতি নতুন জাতীয় শিক্ষাক্রম সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য পরিবেশন ও ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে জনমনে বিরূপ মনোভাব সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছে।
‘এর অংশ হিসেবে সাধারণ মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগে বা আমাদের জাতীয় সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের পরিপন্থী কাজকে শিক্ষাক্রমের কাজ বলে প্রচার করা হচ্ছে। নবির ছবি আঁকতে বলা হয়েছে লিখে মিথ্যাচার করছে। হিন্দি গানের সঙ্গে স্কুলের পোশাক পরা কিছু ছেলেমেয়ে ও ব্যক্তির অশ্লীল নাচ আপলোড করে বলা হচ্ছে শিক্ষাক্রমের নির্দেশনা, যা সর্বৈব মিথ্যা।’
এতে আরও বলা হয়, কিছু লোক ব্যাঙের লাফ বা হাঁসের ডাক দিচ্ছে—এমন ভিডিও আপলোড করে বলা হচ্ছে এটা নতুন শিক্ষাক্রমের শিক্ষক প্রশিক্ষণের অংশ, যা সম্পূর্ণ মিথ্যাচার। নতুন শিক্ষাক্রমে সব ধর্ম-বর্ণের মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শনের কথা বলা হয়েছে। আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতিকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মধ্যে বিকশিত করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
‘মিথ্যা অপপ্রচারের মাধ্যমে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রমকে বিপন্ন করার প্রচেষ্টা যারা করছেন, তাদের এরূপ কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য সতর্ক করা যাচ্ছে। শিক্ষাক্রমের কোনো ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকলে তা আমাদের জানালে আমরা অবশ্যই তা বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় সংশোধন পরিমার্জন করবো। কিন্তু অপপ্রচার করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সর্বসাধারণকে মিথ্যা প্রচারণায় বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য এনসিটিবি অনুরোধ জানাচ্ছে। এরূপ মিথ্যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপলোড, শেয়ার বা কমেন্ট করা থেকে বিরত থাকার জন্যও অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।
এর আগে রোববার দুপুরে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানো ভিডিও নতুন শিক্ষাক্রমের অংশ নয় বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে ভয়ানক রকম অপপ্রচার চলছে। অতি ডান ও অতি বামের উসকানিও যুক্ত হয়ে গেছে। যেগুলো আমাদের প্রশিক্ষণের অংশ নয়, সেরকম কিছু ভিডিও ছড়িয়ে দিয়ে মিথ্যাচার করা হচ্ছে।
প্রকাশিত রবিবার ৩ ডিসেম্বর ২০২৩