• সদ্যপ্রাপ্ত সংবাদ

    যে পুলিশ কথা শুনবে না, তাকে থানায়ই রাখব না’

     

    আমরা হলাম ড. আবদুস সোবহান গোলাপের কর্মী, আওয়ামী লীগের কর্মী। আমাদের দিকে চোখ তুলে তাকালে চোখটা খুলে ফেলতে হবে। আবার কেউ যদি বলে পা ভেঙে ফেলবে, তাহলে আমাকে ফোন দেবেন। চতুর্দিক দিয়ে বল্লার মতো এসে ধরে ওকে শেষ করে দেওয়া হবে, কোনো ছাড় হবে না। আপনারা পারবেন না? ভয় লাগে? আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়, পুলিশ আপনাদের। যে পুলিশ হালায় কথা শুনবে না, সেই পুলিশ হালাকে থানায় রাখব না, পরিষ্কার ভাষা।’ 

    মাদারীপুর-৩ আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ড. আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপের পক্ষে কালকিনি উপজেলার সাহেবরামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল হাসান সেলিমের উসকানিমূলক এই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে এই ঘটনায় স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যাপিকা তাহমিনা বেগমের পক্ষ থেকে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
    এ ব্যাপারে স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যাপিকা তাহমিনা বেগমের ঈগল প্রতীকের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সোহেল রানা বলেন, ‘প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই নৌকা প্রার্থী ও তার কর্মী ও সমর্থকেরা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করে আসছে। বিভিন্ন সভা-উঠান বৈঠকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভীতিকর বক্তব্য প্রদানের মাধ্যমে ভোটারদের মধ্যে ভীতিকর পরিবেশ তৈরি ও নির্বাচনের পরিবেশকে অস্থিতিশীল করে তুলছে। ইতোমধ্যে নির্বাচন ঘিরে কালকিনি উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের আমাদের আওয়ামী লীগের এক নেতাকে খুন করে ফেলেছে।’
    সোহেল রানা আরও বলেন, ‘কামরুল হাসান সেলিমের উক্ত ভীতিকর, উসকানিমূলক ও পুলিশ বাহিনীকে হেয় প্রতিপন্ন, অশালীন বক্তব্যের আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং যথাযথ আইনগত ব্যবস্থার দাবি জানাচ্ছি। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। ’ 
    এ ব্যাপারে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কালকিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার দাশ বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।’ 
    অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত কামরুল হাসান সেলিম সাংবাদিকদের জানান, তাঁর বক্তব্য এডিট করে ফেসবুকে ছাড়া হয়েছে। আগে ও পরে আরও কথা ছিল।

    প্রকাশিত বৃহস্পতিবার ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩