ফেনীতে নির্বাচনি প্রচারে নগদ টাকা বিলির হিড়িক
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফেনী-১ ও ২ আসনে ভোটারদের মাঝে ভোটের বিনিময়ে নগদ টাকা বিতরণের অভিযোগ উঠেছে প্রার্থীদের বিরুদ্ধে। ফেনী-১ আসনে জাতীয় পার্টি মনোনীত লাঙল প্রতীকের প্রার্থী শাহরিয়ার ইকবাল রিয়াদ, ওই আসনে নৌকার সমর্থক ফুলগাজী উপজেলার আনন্দপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হারুন মজুমদারের ও ফেনী–২ আসনে নৌকার সমর্থক শর্শদী ইউপি চেয়ারম্যান জানে আলমের বিরুদ্ধে টাকা বিতরণের এ অভিযোগ উঠেছে।জানা যায়, রোববার সন্ধ্যায় ফুলগাজী সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ দৌলতপুর গ্রামে ফেনী-১ আসনে জাতীয় পার্টি মনোনীত লাঙল প্রতীকের প্রার্থী শাহরিয়ার ইকবাল রিয়াদের একটি উঠান বৈঠকে টাকা বিলি করতে দেখা যায়। ওই উঠান বৈঠকে শাহরিয়ার ইকবাল বসে থেকে দলীয় নেতা–কর্মীদের মাধ্যমে ভোটারদের হাতে ভোট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি নিয়ে নগদ টাকা তুলে দেন।এ বিষয়ে শাহরিয়ার ইকবাল ভোটের বিনিময়ে টাকা বিলির বিষয়টি অস্বীকার করে জানান, তাকে মাঠ থেকে সরাতে ষড়যন্ত্র করছে প্রতিপক্ষ। তিনি সরে গেলে প্রতিপক্ষের জয় সহজ হবে।এদিকে ফেনী-১ আসনে আলাউদ্দিন আহম্মেদ চৌধুরী নাসিমের পক্ষে ভোটারদের মধ্যে টাকা বিলির অভিযোগ উঠেছে ফুলগাজী উপজেলার আনন্দপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হারুন মজুমদারের বিরুদ্ধে। তার টাকা বিলির ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। তার সমর্থকরা ছবি পোস্ট করে বলছেন, নাসিম ভাইয়ের গণসংযোগে প্রিয় নেতা হারুন মজুমদার। যদিও এ বিষয়ে হারুন মজুমদার ভোটের বিনিময়ে টাকা বিলির বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘আশ্রয়ণের লোকদের সবসময় আমি সহায়তা করি।’ অন্যদিকে, ফেনী-২ সদর আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী নিজাম উদ্দিন হাজারী সকালে সদর উপজেলার নোয়াবাদ, মোহাম্মদ আলী বাজার, নিমতলা, শর্শদী বাজার, আবুপুরসহ বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগে নেমে পথসভা করেন। গণসংযোগ ও পথসভা শেষে প্রার্থী চলে যাওয়ার পর শর্শদী ইউপি চেয়ারম্যান জানে আলম ভুঞা শর্শদী ইউনিয়নের জাহানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পেছনে নারীদের হাতে নগদ টাকা দেন। অনেকের হাতে এমপির ছবি সম্বলিত রঙিন প্যাকেটে খাবারও সরবরাহ করতে দেখা গেছে। এসময় উপস্থিত নারী–পুরুষের খাবারের প্যাকেট নিয়ে কাড়াকাড়ি করতে দেখা যায়।জানে আলমও ভোটের বিনিময়ে টাকা বিলির বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ‘সবসময় গরিব–দুঃখীদের সাহায্য করে থাকি। আমার প্রতিপক্ষরা ষড়যন্ত্র করছে আমার বিরুদ্ধে।’ এ ব্যাপারে জেলা রির্টানিং কর্মকর্তা মোসাম্মৎ শাহীনা আক্তার জানান, নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন হলে নেওয়া হবে আইনি ব্যবস্থা। কেউ কোনো অভিযোগ দিলে অথবা গণমাধ্যমে কোনো খবর পেলেও সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব। আচরণবিধি পর্যবেক্ষণে কাজ করছে নির্বাচনি অনুসন্ধানী টিম।
প্রকাশিত সোমবার ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩
প্রকাশিত সোমবার ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩