নিউমোনিয়ায় সতর্কতা জরুরি
আজ বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবস। ২০০৯ সাল থেকে ফুসফুসের
রোগে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১২ই নভেম্বর 'বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবস' পালিত হয়ে আসছে। নিউমোনিয়া হল জীবাণুজনিত ফুসফুসের প্রদাহ। যা ফুসফুসে থাকা বায়ুথলীকে সংক্রামিত করে। মূলত বাকটেরিয়া, ভাইরাস, ফাঙ্গাসসজনিত কারণে ফসফুসের এই প্রদাহ হয়ে থাকে।
প্রকৃতিতে শীত আসন্ন। এই সময় ঠান্ডার প্রকোপ বাড়তে পারে। আবার ঠান্ডা বাড়ার কারণে নিউমোনিয়াও দেখা দিতে পারে। তবে, শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী নিউমোনিয়ার উপসর্গ দেখা দেয়। আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালের প্রভাষক ড. আফরিদা ইসলাম বলেন, 'নিউমোনিয়ার প্রধান লক্ষণ হলো জ্বর। এ ছাড়া সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট, ক্লান্তিভার কারণে এ রোগ শরীরে বাসা বাঁধতে পারে। সাধারণত যেকোনো বয়সের মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। তবে ২ বছরের কম বয়সী শিশু এবং বয়স্কদের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে।
ড. আফরিদা ইসলাম জানান, শীতকালে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই এই সময়ে শিশুদের প্রতি বিশেষ যত্নবান হওয়া প্রয়োজন। শিশুকে ৬ মাস পর্যন্ত শুধুমাত্র বুকের দুধ খাওয়ানো এবং ৬ মাস পর বুকের দুধের পাশাপাশি অন্যান্য সুষম খাদ্য নিশ্চিত করার মধ্য দিয়ে এই রোগের প্রাদুর্ভাব কমানো সম্ভব। এ ছাড়া নিবিড় টিকাদান কার্যক্রম (ইপিআই) এর আওতায় নিময়মত শিশুকে ঠিকাদার করা জরুরি। বয়স্কদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম। তাই শীতে শিশু আর আর বয়স্কদের প্রতি খেয়াল রাখা দরকার।করণীয়: ১. জ্বর হলে বিশ্রাম নিন। ২. নিজেকে ধুলোবালি থেকে দূরে রাখুন। ৩. হাঁচি-কাশি দেওয়ার সময় হাত দিয়ে মুখ ঢেকে রাখুন। ৩. অ্যাজমা ও ফুসফুসের রোগীরা ঠান্ডা থেকে দূরে থাকুন। ৪. ধূমপান পরিহার করুন। ধূমপান ফুসফুসের রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা ধ্বংস করে দেয়।৫. নিউমোনিয়ায় প্রকোপ বেশি দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলুন।
প্রকাশিত রবিবার ১২ নভেম্বর ২০২৩