সিডিএ’তে ব্যাংক স্লিপ জালিয়াতি, দুদকের অভিযানে মিলেছে সত্যতা
ভবনের নকশা অনুমোদনের ফরমে ব্যাংকের সীল-স্বাক্ষর জাল করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চট্টগ্রাম।
বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ’র (সিডিএ) কার্যালয়ে অভিযানে আসে ১০ সদস্যের একটি টিম।
এসময় প্রতিষ্ঠানটির বেশ কিছু নথি পর্যালোচনা করেন দুদক কর্মকর্তারা।
অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া চট্টগ্রাম দুদকের উপ-পরিচালক নাজমুস সাদাত জানান, দুদকের হটলাইন নম্বর ১০৬ এ ফোন পেয়ে অভিযানে আসে দুদক।
যেহেতু এখানে অনেকগুলো নথি যাচাই বাছাইয়ের বিষয় রয়েছে, তাই আমরা প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন কাগজপত্র চেয়েছি। যা পরবর্তীতে পর্যালোচনা করে এবং ব্যাংক হিসাবের সঙ্গে কোনো অমিল আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে।
প্রাথমিকভাবে কোনো অনিয়ম পাওয়া গেছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা প্রায় ২ ঘণ্টার মতো সিডিএ-তে ছিলাম। এ অল্প সময়ে বিশাল ফাইল দেখার সুযোগ নেই। তবে কয়েকটি ফাইল দেখেছি। এর মধ্যে কিছু ফাইলে অনিয়মের সত্যতা পাওয়া গেছে।
গত ৩১ আগস্ট ‘জাল ব্যাংক স্লিপে হচ্ছে নকশা অনুমোদন, জড়িত সিডিএর কর্মচারী’ নামে সংবাদ প্রকাশ করে একটি অনলাইন সংবাদ মাধ্যম। বিষয়টি জানাজানি হলে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয় প্রতিষ্ঠানটিতে। এ নিয়ে ওইদিনই সিডিএ’র প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে প্রতিষ্ঠানটির সচিব মিনহাজুর রহমান বরাবরে চিঠিও দেন। এর প্রেক্ষিতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে সিডিএ।
বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুদকের অভিযানে পর সিডিএ’র চেয়ারম্যান এম জহিরুল আলম দোভাষ বলেন, ‘আমরা বিষয়টি জানার পর পরই তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছি। আজ দুদকের টিম এসেছিল। তারা আমাদের কাছে কিছু কাগজপত্র চেয়েছে, আমরা তা তাদের হাতে দিবো।
প্রকাশিত বৃহস্পতিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩