এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে প্রথম ২৪ ঘণ্টায় টোল আদায় সাড়ে ১৮ লাখ টাকা
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে চালু হওয়ার পর প্রথম দিন গতকাল রোববার সকাল ৬টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ১৮ লাখ ৫২ হাজার ৮৮০ টাকা টোল আদায় হয়েছে। ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক এ এইচ এম এস আকতার আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ এইচ এম এস আকতার জানান, এই সড়কে গত ২৪ ঘণ্টায় মোট গাড়ি চলেছে ২২ হাজার ৮০৫টি। এর মধ্যে বিমানবন্দর থেকে বনানী, মহাখালী ও ফার্মগেটে গছে ১২ হাজার ২৪২টি গাড়ি। কুড়িল থেকে বনানী ও মহাখালী গেছে ২ হাজার ৪২৫টি গাড়ি। বনানী থেকে কুড়িল ও বিমানবন্দরে গেছে ২ হাজার ৮৯২টি গাড়ি। তেজগাঁও থেকে মহাখালী, কুড়িল, বনানী ও বিমানবন্দর গেছে ৫ হাজার ২৪৬টি গাড়ি।
এর আগে গত শনিবার কাওলা থেকে ফার্মগেট অংশের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
চালু হওয়া অংশে ওঠানামার জন্য মোট ১৫টি র্যাম্প আছে। এর মধ্যে বিমানবন্দরে দুটি, কুড়িলে তিনটি, বনানীতে চারটি, মহাখালীতে তিনটি, বিজয় সরণিতে দুটি ও ফার্মগেটে একটি। গতকাল থেকে ১৩টি র্যাম্প যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত রয়েছে।
২০১১ সালের ১৯ জানুয়ারি এই প্রকল্পের প্রথম চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়। প্রকল্পটির মেয়াদ ধরা হয় ২০১১ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত।
পরে প্রকল্পের বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ফার্স্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের ১৫ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে সংশোধিত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
প্রকল্পের মোট ব্যয় ৮ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা, যার ২৭ শতাংশ বাংলাদেশ সরকার বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানকে প্রদান করবে। তবে ভূমি অধিগ্রহণ, নকশা বদল, অর্থ সংস্থানের জটিলতায় চার বার সময় বৃদ্ধির ফলে ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৮৫৮ কোটি টাকায়।
বর্তমানে প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৬৫ শতাংশ। প্রকল্পের মূল দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৭৬ কিলোমিটার। র্যাম্পসহ মোট দৈর্ঘ্য ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার।
প্রকাশিত সোমবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩