• সদ্যপ্রাপ্ত সংবাদ

    রিজেন্টের সাহেদের ৩ বছরের কারাদণ্ড

     

    অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারক প্রদীপ কুমার এই রায় ঘোষণা করেন। 

    রায়ে সাহেদকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেন আদালত। জরিমানার টাকা আগামী ৬০ কার্য দিবসের মধ্যে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিতে হবে। দুদকের বিশেষ পিপি মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে গত ১০ আগস্ট রাষ্ট্র ও আসামির বিপক্ষে যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে আদালত রায়ের তারিখ ধার্য করেন। 

    মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০২০ সালের ৫ নভেম্বর নির্ধারিত ২১ কার্যদিবসের মধ্যে সম্পদের হিসাব জমা দিতে সাহেদকে নোটিশ দেয় দুদক। এ সময়ে তিনি সম্পদের হিসাব জমা না দেওয়ায় আরও ১৫ কার্যদিবস সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে, বর্ধিত সময়ের মধ্যেও সম্পদ বিবরণী জমা না দেওয়ায় অনুসন্ধানে নামে দুদক। অনুসন্ধানে তাঁর বিরুদ্ধে ১ কোটি ৬৯ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পাওয়া যায়। 
    এ অভিযোগে ২০২১ সালের ১ মার্চ সাহেদের বিরুদ্ধে দুদকের সমন্বিত ঢাকা জেলা কার্যালয়-১ এ মামলা দায়ের করা হয়। পরে ২০২২ সালের ১৭ এপ্রিল মামলায় অভিযোগ গঠন করে সাহেদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচারকাজ শুরুর আদেশ দেন আদালত। এ মামলার মোট দশজন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন। 

    এর আগে ঢাকার একটি ট্রাইব্যুনাল ২০২০ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর সাহেদকে অস্ত্র মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। তারও আগে ২০১০ সালের ১৮ আগস্ট চেক প্রতারণার একটি মামলায় সাহেদের এক বছরের কারাদণ্ড হয়। 

    উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৬ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখায় অভিযান চালায় র‍্যাব। অভিযানে ভুয়া করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট, করোনা চিকিৎসার নামে রোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়সহ নানা অনিয়ম উঠে আসে। এ ঘটনার পর পালিয়ে যান সাহেদ। ১৫ জুলাই সাহেদকে সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। পরে তাকে হেলিকপ্টারে সাতক্ষীরা থেকে ঢাকায় আনা হয়। 
    তাঁর বিরুদ্ধে প্রতারণা অর্থ, আত্মসাৎ ও বিভিন্ন অভিযোগে ৩১টি মামলা ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটে বিচারাধীন রয়েছে।

    প্রকাশিত সোমবার ২০ আগস্ট ২০২৩