তীব্র গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন
জেলা প্রতিনিধি, বরগুনাঃ চৈত্রের শেষের দিকে তীব্র দাবদাহে পুড়ছে জনজীবন। গরমের তীব্রতায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে বিদ্যুৎ লোডশেডিং । আগুন ঝরা গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে মানুষের জীবনযাত্রা।
ঘরের ভেতরেও স্বস্তি পাওয়া যাচ্ছে না। ফ্যানের বাতাসও গরম অনুভূত হচ্ছে। মধ্যাহ্নে সূর্য গড়ালে ঘরের ভেতরের পরিস্থিতিও ভয়ানক রূপ ধারণ করে। ঘরের ট্যাপ দিয়ে যেন বের হচ্ছে ফুটন্ত পানি। বাতাসের আদ্রতা বেশি থাকায় মাথার ওপরে ফ্যানটাও দিচ্ছে গরম বাতাস। স্বস্তিতে নেই পশু-পাখিও। কাঠফাটা গরমে সবার যেন নাভিশ্বাস হয়ে উঠেছে।
বিশেষ করে শহুরের মানুষরা দুর্বিষহ জীবন যাপন করছেন। বাতাসে আদ্রতা কমে যাওয়ায় মানুষ মাত্রাতিরিক্ত ঘামছেন। বাইরে বের হলেই রোজাদাররা ও কাহিল হয়ে পড়ছেন।
গরমের কারণে বিভিন্ন স্থানে গাছের ছায়ায় অনেকেই বসে বিশ্রাম নিচ্ছেন। পথচারীরা ইফতারের আগে ভিড় করছেন ফুটপাতের শরবত এবং ডাব বিক্রেতাদের কাছে।
টানা কয়েকদিনের সূর্যের তপ্ত গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া বাসা-বাড়ি থেকে সহজে বের হচ্ছে না মানুষ। তবে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষরা।
তবে শহরের বিভিন্ন শপিং মল গুলো গুড়ে দেখা যায়, অধিকাংশ দোকানই ক্রেতা শূন্য। কাপড় ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, এক দিকে রমজান অন্যদিকে তীব্র গরম। যার ফলে ইফতারের পরেও প্রত্যাশিত ক্রেতা আসছে না। ক্রেতা আগের চেয়ে কমে গেছে।
প্রতিদিন স্বাভাবিক যা ব্যবসা হয় তাছাড়া তেমন ব্যবসা নেই। আশা করি গরম কমলে ঈদের বাজার চাঙ্গা হবে। তাছাড়া তীব্র গরমে সারাদিন খাটুনির পর রাতের ঘুমও ঠিকমত হচ্ছে না।
তীব্র গরমের কারণে এখন ছাতা ছাড়া ঘর থেকে বের হওয়া খুবই কষ্টকর। গরমে ঘরেও থাকা যায় না, আবার বাইরেও তীব্র গরম। রোজার মাসে এমন গরম আগে দেখিনি। একটু কাজ করতে গিয়ে হাঁফিয়ে উঠি। বেশিক্ষণ কাজ করা যাচ্ছে না এমন মন্তব্য করেন শ্রমিকরা।