পয়ঃ নিষ্কাশন ব্যবস্থার প্রকল্প বাস্তবায়নে নগরবাসীর সহযোগিতা চায় চট্টগ্রাম ওয়াসা।
প্রধান প্রতিবেদকঃ পয়ঃনিষ্কাশনের চলমান প্রকল্প বাস্তবায়নে সিটি করপোরেশনের জনপ্রতিনিধি ও নগরবাসীর সহযোগিতা চেয়ে মতবিনিময় সভা করেছে চট্টগ্রাম ওয়াসা। ১৪ মার্চ সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম রেডিসন ব্লু'র মহনা হলে ওয়াসার পয়ঃনিষ্কাশন সেবা চালুর বিষয়ে সহযোগিতা কামনা করেন চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল্লাহ।
প্রকাশিত বুধবার ১৫ মার্চ ২০২৩
এসময় তিনি বলেন, নগরীতে যেকোনও বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গেলে সাধারণ নাগরিকের দুর্ভোগ পোহাতে হয় এই চিন্তা মাথায় রেখে আমরা অত্যাআধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাব। আমাদের চেষ্টা থাকবে যাতে নগরবাসীর জনদুর্ভোগ কম হয়।
এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে প্রায় ২০ লাখ নগরবাসী পয়ঃনিষ্কাশন সুবিধা পাবেন। পাশাপাশি পরিবেশ দূষণ কমে আসবে, রক্ষা পাবে চট্টগ্রাম এর প্রাণ হালদা ও কর্ণফুলী নদী। এসময় তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশনের জবাবে বলেন এ প্রকল্প যাতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন করতে পারি সেজন্য সকলের সহযোগিতা সহযোগিতা প্রয়োজন। মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ রেজাউল করিম চৌধুরী ও সম্মানিত অতিথি ছিলেন দৈনিক আজাদীর সম্পাদক এম এ মালেক।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, বিভিন্ন সময় নগরের উন্নয়ন কাজ চলাকালে নগরবাসীর দুর্ভোগের সীমা থাকেনা, বিশেষ করে চট্টগ্রাম ওয়াসার রাস্তা কাটাকাটি তে নগরবাসী অতিষ্ঠ। নগরবাসী পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার সুবিধা ভোগ করবে, কিন্তু এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে যাতে সাধারণ মানুষকে যেন কোনো দুর্ভোগ পোহাতে না হয় সেদিকে ওয়াসার লক্ষ্য রাখতে হবে। কারণ সড়কের কোথাও গর্ত হলে চসিকের দিকে আঙ্গুল উঠে। তাই পরি তিনি আরও বলেন, সব ওয়ার্ডে একযোগে কাজ শুরু না করে ধাপে ধাপে এক একটি ওয়ার্ডের কাজ করলে মানুষের কষ্ট কমবে। এছাড়া পুরো রাস্তা না কেটে যদি বোরিং করে পাইপলাইন বসানো যায় তাহলে মানুষের আরও স্বস্তি মিলবে। অনুষ্ঠানের সম্মানিত অতিথির বক্তৃতাকালে এম এ মালেক বলেন বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের বিষয়ে জোরদার ভূমিকা রাখতে হবে। তিনি বলেন, আমরা যেকোনো প্রজেক্ট শুরু করি-শেষ করি না। আমি আশা করবো, এ প্রকল্প চট্টগ্রাম ওয়াসা সফলভাবে শেষ করবে। কিন্তু আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে একটি স্বাস্থ্যসম্মত নগরী গড়তে শুধু ওয়াসা নয়, সাধারণ নাগরিকদেরও এগিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন আমরা ওয়াসার কাছে পর্যাপ্ত পানি চায়। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন পয়ঃশোধনাগার নির্মাণকাজে নিয়োজিত দক্ষিণ কোরিয়ার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি অং স্যং জু, প্রকল্পের পাইপলাইন নেটওয়ার্কিং কাজে নিয়োজিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মিস্টার অ্যান্ড্রু, এ কাজে নিয়োজিত আরেক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি স্প্রীং জাং।প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম মহানগরীর পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা স্থাপন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে চট্টগ্রাম ওয়াসা। এই প্রকল্পে বাস্তবায়ন হলে নগরীতে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করার মাধ্যমে জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে। এ প্রকল্পের আওতায় দৈনিক ১০ কোটি লিটার ক্ষমতার পরিশোধন প্ল্যান্ট নির্মাণ করা হচ্ছে। পাশাপাশি বাসাবাড়ির তরল বর্জ্য সংগ্রহ ও পরিবহনের জন্য ২০০ কিলোমিটার পয়ঃপাইপ লাইন ও প্রায় ২৮ হাজার বাসাবাড়িতে সংযোগ লাইন স্থাপন করা হবে।
প্রকাশিত বুধবার ১৫ মার্চ ২০২৩