বউয়ের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে বাড়িওয়ালার হাতে খুন!
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় মারামারির ঘটনায় আবদুল্লাহ আল সোহান (২৮) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টার দিকে গোলাপবাগের মনোয়ারা হাসপাতালের পেছনে এই ঘটনা ঘটে। নিহত সোহান পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার চন্দনপাড়া গ্রামের ইউনুস
মিয়ার ছেলে।
মিয়ার ছেলে।
নিহত সোহানের চাচাতো ভাই সাগর মিয়া জানান, মঙ্গলবার রাতে সোহান ও তার স্ত্রী মাসুমা সিদ্দিকা দোলার বাসায় যান। তখন দোলাদের বাসায় তাদের পরিবারের কেউ ছিলেন না। দোলার বাসার বাড়িওয়ালা ও স্থানীয়রা বিয়ের বিষয়ে জানতেন না। কারণ দুই বছর আগে আদালতের মাধ্যমে দোলাকে বিয়ে করেছিলেন সোহান।
তিনি বলেন, এ সময় বাড়িওয়ালা জামাল তাদেরকে জেরা করতে থাকেন। এক পর্যায়ে দোলা তাদের বিয়ের কাগজপত্র বাড়িওয়ালাকে দেখান। কিন্তু তারপরেও বাড়িওয়ালা দোলার কাছ থেকে সোহানকে ছিনিয়ে নিয়ে পাশের বাসার নিচে নিয়ে যায়। এরপর তাকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি দিতে থাকেন। এক পর্যায়ে সোহান অচেতন হয়ে পড়লে প্রথমে মনোয়ারা হাসপাতাল ও পরে মুগদা মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সাগর মিয়া বলেন, সোহানের শরীরে বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। কানাডা যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন সোহান। পিঠার ব্যবসা ছিল তার, বিভিন্ন দোকানে পাইকারি বিক্রি করতেন। বর্তমানে খিলগাঁও সি ব্লক আনসার ক্যাম্পে পেছনে ভাড়া বাসায় থাকেন তারা। তার বাড়ি পটুয়াখালী জেলার বাউফল থানার গোলাবাড়ি গ্রামে। এক ভাই এক বোনের মাঝে সোহান বড়। তার বাবার নাম ইউনুস খান।
এ বিষয়ে যাত্রাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মফিজুল আলম জানান, গতকাল রাতে মানিকনগর মনোয়ারা হাসপাতালের পেছনে এই ঘটনাটি ঘটে। পরে আমরা খবর পেয়ে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে নিহত সোহানের মরদেহ উদ্ধার করি। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ রাত সাড়ে ১২টার দিকে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, নিহতর শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। এই ঘটনার অভিযুক্ত বাড়িওয়ালা জামালসহ বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।