খেজুর রস বিক্রি করে চলে সীতাকুণ্ডের আলী হোসেনের সংসার
মো. নুরউদ্দীন খান সাগর ঃ ”ঐ খেজুরের রস” বলে শহরের মানুষের ঘুম ভাঙান রস বিক্রেতা আলী হোসেন ভুট্টু। রস বিক্রেতা হিসেবে সকলের কাছে পরিচিত তিনি।
গত ৩৫বছর চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন এলাকায় রস বিক্রি করছেন । নিজের বিক্রয় করা রস সেরা বলেও গ্যারান্টি দেন ভুট্টু ।
কাক ডাকা ভোরে যখন নগরবাসী ঘুমে বিভোর তখন আলী হোসেন ভুট্টুর ঐ খেজুরের রস শব্দ শুনে অনেকের ঘুম ভাঙ্গে। নগরীর আকবরশাহ, পাহাড়তলী, ফয়েজলেক, খুলশীসহ অনেক এলাকায় ভুট্টুর রস খুব জনপ্রিয়।
২ টাকা কেজি দরে বিক্রি শুরু করা রস বর্তমানে ৯০ টাকা দরে বিক্রি করেন তিনি । শীতের সময় প্রতিদিন ভোরে রস নিয়ে চষে বেড়ান নগরীর অলিগলি।
ভুট্টুর বাড়ি চট্টগ্রাম নগরীর নিকটবর্তী উপজেলা সীতাকুন্ডের বসরতনগর গ্রামে। দুই সন্তানের জনক আলী হোসেন ভুট্টু। চার সদস্যের পরিবার তার ।
রস বিক্রি ভুট্টুর মূল পেশা। গ্রাম থেকে রস সংগ্রহ করে শহরে এনে বিক্রি করেন। শীত মৌসুম শেষ হলে কৃষি কাজ করে সংসার চালান। রস বিক্রি করে প্রতিদিন এক হাজার থেকে বারো’শ টাকা আয় হয় তার।
ভুট্টুর কাছে থেকে নিয়মিত রস ক্রেতা আকবরশাহর ইয়াছিন ভুইয়া বলেন, র্নিভেজাল রস মানে ভুট্টুর রস, তাই আমি প্রতিদিন তার কাছ থেকে রস কিনি।
আরেক রস ক্রেতা গৃহিনী সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ভুট্টুর রস আমার পরিবারের সকলের খুব প্রিয় আমি প্রায় তার কাছ থেকে রস নিই।
নিজের মালিকানাধীন গাছ ছাড়াও ভুট্টু সীতাকুÐের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে রস সংগ্রহ করেন। নিজ গ্রামের বা পাশের গ্রামের গাছিদের একদিন আগে রস দিতে বলে রাখেন তিনি। অনেক সময় গাছের মালিককে অগ্রীম টাকাও দিয়ে রাখে রস নেওয়ার জন্য।
ভুট্টু বলেন, গত ৩৫বছর শহরের অলিগলিতে রস বিক্রি করে এখন আমি সকলের খুব পরিচিত। সবাই আমার কাছ থেকে রস কিনে। রস বিক্রির টাকায় আমার সংসার চলে। রস বিক্রির জমানো টাকা দিয়ে জায়গা কিনে নতুন বাড়ি করেছি। আমি যতদিন বেঁচে থাকবো ততদিন ঐ খেজুরের রস এই শব্দ বলে যাবো।