• সদ্যপ্রাপ্ত সংবাদ

    গৃহকর নিয়ে মেয়র ভয়ংকর খেলায় মেতে উঠেছেন করদাতা সুরক্ষা পরিষদ

     

    গৃহকর চট্টগ্রামবাসির গলায় ফাঁস হয়ে দাঁড়িয়েছে- ভাড়ার উপর নির্ধারণ করা
    হোল্ডিং ট্যাক্স আদায়ের নামে মেয়র অ্যালসেসিয়েন কুকুরের মতো কর কর্মকর্তাদের
    নগরবাসির উপর ছেড়ে দিয়েছেন। এতোদিন ঘুষ বাণিজ্যের মচ্ছব চলছিল।
    কর্পোরেশনের দূর্নীতির কথা বলার কারণে মেয়র সুরক্ষার সভাপতি নুরুল আফসারের
    উপর মামলা ও নেতা-কর্মীর উপর হামলা, দমন-পীড়ন চালিয়ে এক ভয়ংকর খেলায় মেতে
    উঠেছেন। গতকাল (আজ) বিকেলে ২৩ ও ২৪ নং ওয়ার্ডের উদ্যোগে আয়োজিত
    দেওয়ানহাট মোড়ে অনুষ্টিত সভায় চট্টগ্রাম করদাতা সুরক্ষা পরিষদের সাধারন
    সম্পাদক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক মুহম্মদ আমির উদ্দিন তাঁর
    বক্তরব্য এ কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, নগরবাসি আশা করেছিল খাজা বাবার দরবার
    জেয়ারত করে এসে মেয়র মহোদয়ের বোধোদয় হবে কিন্তু তিনি আগের অবস্থানে অটল
    রয়েছেন। নানা রকম ধানায়-পানায় তিনি ভাড়ার অন্যায্য হোল্ডিং ট্যাক্স নগরবাসির
    উপর চাপিয়ে দিতে চাচ্ছেন। সুরক্ষার ২১ অক্টোবরের গণশুনানী বানচাল করতে তিনি
    ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গণশুনানী করার ঘোষণা দিয়েছেন যা সত্যিকার অর্থে

    গণতোষামোদিতায় পর্যবসিত হবে বলে চট্টগ্রামবাসি মনে করেন। এসব না করে
    পূর্বের নিয়মে গৃহকর নিয়ে নগরবাসিকে রেহাই দেয়ার দাবী জানান তিনি।
    সভায় সাবেক কাউন্সিলর জান্নাতুল ফেরদৌস পপি বলেন, সিটি কর্পোরেশন আজ
    দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে অথচ এটি চট্টগ্রামে অন্যতম সেবা খাত।
    মানুষ এ প্রতিষ্ঠান থেকে নূন্যতম সেবা পাচ্ছেন না। আমাদের আন্দোলন গলাকাটা
    হোল্ডিং ট্যাক্স আইন বাতিলের মাধ্যমে চট্টগ্রামবাসির গলার ফাঁস ছুড়ে ফেলার
    আন্দোলন। ভাড়ার উপর কর নির্ধরনের এমন আজব নজীর পৃথিবীর কোথাও নেই,
    এমনকি বাংলাদেশের কোন কর্পোরেশন বা পৌরসভায় নেই-তাহলে চট্টগ্রামবাসির
    অপরাধ কি যে তাঁদের উপর বার বার এমন আজাব চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হয়?
    তিনি আরো বলেন, করোনায় চট্টগ্রামের অর্থনীতি ভেঙ্গে পড়েছে, দ্রব্যমূল্যের
    উর্দ্ধগতিতে জনজীবন বিপর্যুদস্ত-এলাকায় এলাকায় গাছে, রাস্তার থামে ‘টু-লেট’
    ঝুলছে। মানুষের সংসার চালানো দায় হয়ে পড়েছে-এ অদ্ভুত কর কিভাবে দেবে যা
    আপিলের পরেও ৪/৫ গুণ বর্ধিত থেকে যায়?
    সৈয়দ ইরফান উদ্দিন খালেদের সভাপতিত্বে অনুষ্টিত সভায় সুরক্ষার নেতা হাসান
    মারুফ রুমি বলেন, গৃহকর আদায়ে সীমাহীন দুর্নীতি হচ্ছে এ ব্যাপারে মেয়র
    সাহেব নিশ্চুপ আর আমরা এ দুর্নীতির কথা বলতে গিয়ে চক্রান্তকারী হয়ে গেলাম!
    আমাদের সভাপতি মামলা খেল, সাধারণ সম্পাদকের ভাড়াঘরে হামলা চালানো হলো।
    তিনি চট্টগ্রাম নগরের সংসদ সদস্যদের এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য অনুরোধ জানান।
    তিনি আগামী ২১ শে অক্টোবর শুক্রবার বিকাল ৩টায় কদমতলীর গণশুনানীতে গৃহকরের
    অসঙ্গতি ও দুর্নীতির খতিয়ান তুলে ধরার জন্য নগরবাসিরে প্রতি অীাহবান জানান।
    হাসান মুরাদ ও সৈয়দ সালাউদ্দিন শিমুলের সঞ্চালনায় সভায় সভাপতি নুরুল
    আবছারের পুত্র নুরুল হুদা তানভীর বলেন ৭০ লক্ষ জনতার পক্ষে দাঁড়িয়ে আমার পিতা যে
    সত্য উচ্চারণ করেছেন তার জন্য আমরা গর্বিত। মামলা-হামলায় ভয়ে আমরা ভীত নই।
    অন্যায্য গৃহকর বাতিল করেই আমরা ঘরে ফিরবো তার আগে নয়।
    সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তক্য রাখেন, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুজিবুল হক, কাউৃন্সিলর
    আবদুল মালেক, সৈয়দ হোসেন, শ্রমিক নেতা সিদ্দিকুল ইসলাম, হাজী হারুনুর
    রশীদ, হাজি মফিজুর রহমান, মীর মোহাম্মদ ইসলাম, হাজী নজরুল ইসলাম, মীর সৈয়দ

    ইমরান, এডভোকেট এ, আর, জাহাঙ্গীর, সোহেল আহমদ, সাজ্জাদ হোসেন জাফর,
    আহমদ জসীম, মোঃ আলমগীর প্রমুখ। সভাশেষে একটি মিছির শেখমুজিব রোড
    প্রদক্ষিণ করে।
    প্রকাশিত শুক্রবার ০৭ অক্টোবর ২০২২