ইতালিতে নারী পুলিশকে ধর্ষণের দায়ে বাংলাদেশি যুবক গ্রেপ্তার
ইতালিতে এক নারী পুলিশকে ধর্ষণের পর হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ২৩ বছর বয়সী এক বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করেছে দেশটির পুলিশ। নিরাপত্তার জন্য আটক ওই বাংলাদেশির নাম-পরিচয় প্রকাশ করেনি স্থানীয় প্রশাসন।
আহত ওই নারী পুলিশ স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বর্তমানে নিজ বাসায় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে ফলাও করে সংবাদ প্রকাশ করছে স্থানীয় সব গণমাধ্যম। সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছেন দেশটির নতুন মন্ত্রীপরিষদ। সমালোচনার মুখে পড়েছে স্থানীয় প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
জানা গেছে, ওই নারী পুলিশ রাতে ডিউটি শেষে নেপোলি বন্দরের পিসাকানে হাঁটছিলেন। ওই বাংলাদেশি আগে থেকেই নারী পুলিশকে অনুসরণ করছিলেন। এক পর্যায়ে অতর্কিত হামলা চালিয়ে তাকে ধর্ষণ করা হয়। এমনকি শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করা হয়। এ সময় ওই নারী পুলিশ সদস্যের সঙ্গে অস্ত্র থাকলেও তিনি আত্মরক্ষার সময় পাননি বলে জানিয়েছেন।
পরে ওই নারী পুলিশ এক ট্রাকচালকের সহযোগিতায় পুলিশকে কল দেন। কয়েক মিনিটের মধ্যে পুলিশ এসে ওই যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত বাংলাদেশি অবৈধ ও পক্ষপাতদুষ্ট। তার বিরুদ্ধে নারী পুলিশকে হত্যাচেষ্টা ও ধর্ষণের জবাবদিহিতার মামলা করা হয়েছে। ঘটনাটি নিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যমে বেশ তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব ও বৃহত্তর কুমিল্লা সমিতি ভেনিসের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন বলেন, এটি অত্যন্ত ন্যক্কারজনক ঘটনা। এর ফলে আমাদের দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। পুরো বাংলা কমিউনিটির জন্য কলঙ্কময় একটি অধ্যায় সৃষ্টি করল সে। এ ঘটনার পর প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি স্থানীয়দের মধ্যে ঘৃণা জন্মাবে।
তিনি বলেন, এ কাজের উপযুক্ত শাস্তি পেলে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘৃণ্য কাজ করতে কেউ সাহস পাবে না। সবার কাছে অনুরোধ দেশের স্বার্থে এ ধরনের ঘৃণ্য কাজ থেকে সবাই দূরে থাকুন।