• সদ্যপ্রাপ্ত সংবাদ

    বিএনপির ঐক্যের ফলাফল পাঁচ আসন: তথ্যমন্ত্রী


    আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি ২০১৮ সালেও সব দলের সঙ্গে সংলাপ করেছিল। সংলাপ করে একটি বড় ঐক্য, তাদের ভাষায় একটি জাতীয় ঐক্য তারা প্রতিষ্ঠা করেছিল। সেই ঐক্যের ফলাফল হচ্ছে বিএনপি মাত্র পাঁচটি আসন পেয়েছিল।

    সোমবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই কথা বলেন। বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিমের কাছ থেকে কাউন্সিলের বার্ষিক প্রতিবেদন-২০২১ গ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বিএনপি’র সাম্প্রতিক সংলাপ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।


    প্রেস কাউন্সিলের সদস্যদের মধ্যে শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন এমপি, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা, দ্য ডেইলি অবজারভার সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, দৈনিক যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলম, দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি সম্পাদক এম. জি কিবরিয়া চৌধুরী, বিএফইউজের দফতর সম্পাদক সেবিকা রাণী, প্রেস কাউন্সিল সচিব শাহ আলম এসময় উপস্থিত ছিলেন।


    ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সেখানে ডানপন্থী-বামপন্থী, অতি ডান-অতি বামরা ছিল। আবার মাইক্রোস্কোপিক দলগুলোও ছিল। যেমন গতকাল তারা বৈঠক করেছে কল্যাণ পার্টির সঙ্গে। আনুবীক্ষণিক দলের সঙ্গে বৈঠক করে যখন তারা বলে যে বৃহত্তর ঐক্য গঠন করবে, তখন মানুষ হাসে। কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান আছে, মহাসচিব যে কে আমি জানি না। মির্জা ফখরুল সাহেব জানেন কি না তাও আমি জানি না। এ ধরনের দলের সঙ্গে বৈঠক কিছু সংখ্যক সংবাদ পরিবেশন করা ছাড়া অন্য কোনও কিছু নয়।  

    বিএনপির মিছিল সমাবেশ মারমুখী বলে মনে হচ্ছে- সাংবাদিকরা এ বিষয়ে জানতে চাইলে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, বিএনপির উদ্দেশ্য হচ্ছে একটি সংঘাতময় পরিস্থিতি তৈরি করা। তারা ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে এবং ২০১৮ সালে নির্বাচনের আগে সংঘাতময় পরিস্থিতি তৈরি করেছিল। এখনও চেষ্টা করছে। তারা উসকানিমূলকভাবে তাদের কর্মীদের লেলিয়ে দিচ্ছে পুলিশ ও সাধারণ জনগণের ওপর। দেখা যাচ্ছে যে, তাদেরই ইটের আঘাতে তাদের বেশ কয়েকজন কর্মী আহত হয়েছে, মৃত্যুবরণও করেছে। তারা এ ধরনের ঘটনা ঘটাবে। নিজেরা নিজেদের কর্মীদের মারবে। মেরে পুলিশের ওপর দায় চাপাবে। সরকারের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করবে।

    আওয়ামী লীগ কর্মীদের সংযতভাবে সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, পুলিশও বিএনপির যুদ্ধংদেহী মনোভাব, সংঘাতের অপচেষ্টাকে অত্যন্ত সংযতভাবে মোকাবিলা করছে। কিন্তু তারা যদি এটি অব্যাহত রাখে, জনগণ তাদের আবারও আগে যেভাবে প্রতিহত করেছিল, তাই আবার করবে।

    কূটনৈতিক শালীনতা যেন লঙ্ঘন না হয়

    নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন রাষ্ট্রদূতের মন্তব্য প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, এটি তো নতুন নয়। যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য যারা রাষ্ট্রদূত ছিল তারাও এ নিয়ে কথা বলেছে এবং অন্যান্য দেশের রাষ্ট্রদূতরাও এ নিয়ে কথা বলে। আমরা তো তাদের সঙ্গে একমত। আমরা স্বচ্ছ ও অংশগ্রহণমূলক একটি নির্বাচন চাই। এটি শুধুমাত্র সরকারি দলের দায়িত্ব না, এ দায়িত্ব কিন্তু সব দলের। যারা এ নিয়ে বক্তব্য রাখছেন, আশা করি তাদের সেই বক্তব্যগুলো বিএনপিসহ যারা সংঘাতময় পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা চালায় তাদের কানে পৌঁছুবে এবং নির্বাচন কমিশনের অধীনে একটি অংশগ্রহণমূলক স্বচ্ছ নির্বাচন করার ক্ষেত্রে তারা সহায়তা করবে। বিদেশি রাষ্ট্রদূতরা অবশ্যই আমাদের নির্বাচন নিয়ে পরামর্শ দিতে পারেন, সেটি যেন অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের মতো না হয় একইসঙ্গে কূটনৈতিক শালীনতা যেন লঙ্ঘন না হয়।
    প্রকাশিত সোমবার ০৩ অক্টোবর ২০২২