বাবুল-ইলিয়াসের বিরুদ্ধে এবার পিবিআই’র এসপির মামলা
চট্রগ্রামের সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার ও মার্কিন প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেনসহ চারজনের বিরুদ্ধে চট্রগ্রামে মামলা করা হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এ মামলাটি হয়েছে। মূলত ইউটিউবে বিভ্রান্তিমূলক ও অসত্য তথ্য প্রচারের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা হয়।সোমবার (১৭ অক্টোবর) নগরীর খুলশী থানায় মামলাটি করেন পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো অঞ্চলের পুলিশ সুপার নাঈমা সুলতানা। সোমবার মামলাটি হলেও তার দুদিন পর বুধবার (১৯ অক্টোবর) রাতে মামলার বিষয়টি জানাজানি হয়।মামলার অন্য আসামিরা হলেন- বাবুল আক্তারের ভাই মো. হাবিবুর রহমান লাবু ও বাবুল আক্তারের বাবা আব্দুল অয়াদুদ মিয়া।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্তোষ কুমার চাকমা।সম্প্রতি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু হত্যা মামলার তদন্ত নিয়ে একটি ভিডিও প্রকাশ করেন প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত সেই ভিডিওতে বনজ কুমার মজুমদার ছাড়াও নাইমা সুলতানার বিরুদ্ধেও নানান অভিযোগ আনা হয়।ইলিয়াসের ভিডিও প্রচারের পর গত ২৭ সেপ্টেম্বর পিবিআই প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি বনজ কুমার মজুমদারের পক্ষে ধানমন্ডি থানায় ইলিয়াস হোসাইন, বাবুল আক্তার এবং বাবুল আক্তারের ভাই হাবিবুর রহমান লাবু ও তার বাবা আব্দুল ওয়াদুদ মিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করেন পিবিআই ঢাকা মেট্রো উত্তরের পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম। এদিকে স্বীকারোক্তি আদায়ে পিবিআই হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ তুলে গত ৮ সেপ্টেম্বর বনজ কুমার মজুমদারসহ ৬ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে একটি মামলার আবেদন করেছিলেন বাবুল আক্তার। এছাড়া গত ১১ সেপ্টেম্বর একই আদালতে ফেনী কারাগারে নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করেন বাবুল। তবে গত ২৫ সেপ্টেম্বর বাবুল আক্তারের মামলার আবেদন খারিজ করে দেন চট্টগ্রামের মহানগর দায়রা জজ আদালত।