আটা-ময়দা দিয়ে তৈরি হচ্ছে বিদেশি ব্রান্ডের প্রসাধনী
ফ্রান্স আর কোরিয়ার প্রসাধনী তৈরি হচ্ছে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরেই। না এটি কোন সাফল্যের খবর নয়। বরং বিদেশি ব্রান্ডের এসব প্রসাধনী তৈরি হচ্ছে আটা-ময়দা, রঙ আর নানা রকম ক্ষতিকর কেমিক্যাল দিয়ে। আর এসব প্রসাধনী বিদেশি নামে ছড়িয়ে পড়ছে দেশে।
সেখানে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ প্রসাধনী জব্দ করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। ডিবি বলছে, এসব নকল প্রসাধনী ছড়িয়ে পড়ছে দেশের আনাচে এমনকি সুপারশপেও।
ফ্রান্সের জনপ্রিয় প্রসাধনী ব্র্যান্ড লরিয়েল। পণ্যের মোড়কে থাকা বারকোড পরীক্ষা করেও বোঝার উপায় নেই এটি নকল। বিদেশি পণ্যের হুবহু মোড়কে এসব প্রসাধনী তৈরি হয় কামরাঙ্গীরচরে।
শুধু ফরাসিই নয়, দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাজ্য থেকে শুরু করে বিশ্বের সব নামী দামি সব ব্র্যান্ডের প্রসাধনী তৈরি হয় কামরাঙ্গীরচরের ইব্রাহীমনগর বালুরমাঠ এলাকার একটি বাসায়।
হাজী ছারওয়ার আলমের বাড়ির ষষ্ঠ তলার একটি কারখানায় অবৈধ ভেজাল ক্রিম, বডি লোশন, তেল, হেয়ার স্পা, জেল ও ফেস প্যাকসহ বিভিন্ন প্রসাধনী তৈরি হচ্ছিলো।
আটা-ময়দা, রঙ আর নানা রকম কেমিক্যাল মিশিয়ে তৈরি হয় এই নকল পণ্য। ব্যবহৃত এসব নকল মোড়কও দেশেই তৈরী হয়।
রঙ ফর্সাকারী বিভিন্ন ক্রিম, হেয়ার ওয়েল, এলোভেরা জেল, ফেসওয়াস থেকে শুরু করে দশ থেকে পনের রকমের নকল পণ্য তৈরি হচ্ছে বছরের পর বছর ধরে।
এসব পণ্য এখান থেকে চলে যায় চকবাজার। চকবাজরের পাইকারি দোকান থেকে এসব পণ্য চলে সেলুন বিউটি পার্লার, মুদি দোকান থেকে শুরু করে নামী-দামী সুপারশপে।
কেউ জেনে কেউ না জেনে কিনে নেন এসব নকল পণ্য। অভিযানে আটক করা হয় বিপুল পরিমাণ নকল প্রসাধনী। আটক হয় কোম্পানির মালিকসহ সাত জন।
গোয়েন্দা পুলিশ জানিয়েছে, নকল প্রসাধনী যে সব দোকানে পাওয়া যাবে এখন থেকে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ভেজাল কারখানার মালিক সবুর ইসলাম ওরফে সবুজ ও বাড়ির মালিক ছারওয়ার আলমসহ আরও দু’জন পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কৌশলে পালিয়ে যায়।
পলাতকদের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত আছে। কামরাঙ্গীরচর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিবির এ কর্মকর্তা।