মহাষ্টমী ও কুমারী পূজা আজ
শারদীয় দুর্গোৎসবের আজ মহাষ্টমী। সোমবার (৩ অক্টোবর) সকালে মণ্ডপে শুরু হয়েছে অষ্টমী বিহিত পূজা। ষোড়শ উপাচারে পূজিত হচ্ছেন দেবী দুর্গা।
এদিকে, অতিমারী পেরিয়ে রাজধানীর রামকৃষ্ণ মিশনে এবছর ফিরেছে কুমারী পূজা। বেলা ১১টায় এখানে অনুষ্ঠিত হবে এই পূজা। তাই সকাল থেকে পূজার্থীদের ভিড়ে মুখর রামকৃষ্ণ মিশন।
কুমারী পুজোর সময় দেবী দুর্গার ন’টি রূপের কথা মাথায় রেখে ন’টি মেয়েকে সাজানো হয়। তাদের খাওয়ানো হয়। পরানো হয় লাল চুড়ি। দেওয়া হয় নারকেল, চাল এবং সামর্থ্য মত অর্থ। যে ব্যক্তি এই কুমারী পুজোর আয়োজন করে থাকেন, তাঁকে জীবনে কখনও আর্থিক ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়তে হয় না। এই পুজোর আয়োজক সকল কাজে সফলতা পান।
উৎসবের দ্বিতীয় দিন রোববার (২ অক্টোবর) সপ্তমীর সকালে পূজার শুরুতেই দেবী দূর্গার প্রতিবিম্ব আয়নায় ফেলে বিশেষ ধর্মীয় রীতিতে স্নান করানো হয়। এরপর করা হয় নবপত্রিকা স্থাপন। নবপত্রিকার আরেক নাম হলো কলা বৌ স্নান। মহাসপ্তমীতে মণ্ডপগুলোতে ভক্ত, পূজারী ও দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা যায়।
অষ্টমীতে নানা রঙের পোশাক পরে মণ্ডপে মণ্ডপে হাজির হচ্ছেন ভক্তরা। এবার কোনো ধরনের বিধিনিষেধ ছাড়াই হচ্ছে পূজা উদযাপন।
মণ্ডপের সংখ্যাও বেড়েছে। জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে দেবী বন্দনায় ভক্তরা। দেশে এবার প্রায় ৩২ হাজার ১৬৮ মণ্ডপে দুর্গাপূজা হচ্ছে। এর মধ্যে ঢাকা মহানগরে এবার পূজা হবে ২৪১টি মণ্ডপে। গত বছর সারাদেশে পূজা মণ্ডপের সংখ্যা ছিল ৩২ হাজার ১১৮টি।
এ ছাড়া দেবীর চক্ষুদানের মাধ্যমে দেবী দূর্গার প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হয়। পূজা শেষে হাতের মুঠোয় ফুল, বেলপাতা নিয়ে ভক্তরা মন্ত্র উচ্চারণের মধ্য দিয়ে এবারের পূজার প্রথম অঞ্জলি দেন দেবীর পায়ে। করজোরে কাতর কণ্ঠে জগজ্জননীর কাছে শান্তিময় বিশ্বের জন্য প্রার্থনা করেন ভক্তরা। ঢাকের বাদ্য, কাসর ঘণ্টা কিংবা শঙ্খধ্বনিতে দেবীর আরাধনার পাশাপাশি সবেতেই যেনো ছিল একই আর্তি।