• সদ্যপ্রাপ্ত সংবাদ

    রাতে উপকূলের আঘাত হানতে পারে সিত্রাং

     

    বাংলাদেশের উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার ভোর নাগাদ প্রবল ঘূর্ণিঝড় রূপে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে আঘাত হানতে পারে এটি।

     এ সময় বাতাসের সর্বোচ্চ বেগ ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। মোংলা-পায়রা বন্দর কে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত এবং চট্রগ্রাম ও কক্সবাজার বন্দর কে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। 

    চট্রগ্রাম বন্দরের সব জাহাজকে পাঠানো হচ্ছে গভীর সমুদ্রে। সেই সাথে উপকূলীয় এলাকায় লঞ্চসহ সব নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।ঝড়ের প্রভাবে স্বাভাবিকের চেয়ে ৫ থেকে ৭ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় দেশের সবগুলো সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরের সব নৌকা ও ট্রলারকে নিরাপদ স্থানে যাবার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এ রূপ নিয়েছে। চট্টগ্রাম, মোংলা, পায়রা ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরে চার নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত জারি করা হয়েছে।ঘুর্ণিঝড়টি সন্ধ্যা ৬ টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭১০ কিমি. দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭০০ কিমি. দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৭৫ কিমি. দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।

    ঘুর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কি. মি, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিমি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঝড়ের প্রভাবে বরিশাল, খুলনা এবং চট্টগ্রামের উপকূলীয় এলাকায় স্বাভাবিকের চেয়ে ৫ থেকে ৭ ফুট জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। 

    ঘুর্ণিঝড়ের কেন্দ্রের কাছাকাছি এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে। মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে গভীর সমুদ্রে না যেতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।আবহাওয়া অফিস জানায়, ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রগতি অংশের প্রভাবে ঊপকূলীয় জেলাগুলোর নিন্মাঞ্চল স্বাভাবিকের চেয়ে ৫ থেকে ৭ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশালের উপকূলের জেলাগুলোতে আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করে খাদ্য মজুদের নির্দেশ দিয়েছেন ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী।

    এদিকে, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী জানান, এরই মধ্যে উপকূলীয় এলাকায় আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশালের উপকূলের জেলাগুলোতে আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করে খাদ্য মজুদের নির্দেশ দিয়েছেন ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী।

    প্রকাশিত সোমবার ২৪ অক্টোবর ২০২২