ব্রিটেনের রানির মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথেরে মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসকে পাঠানো শোক বার্তায় এ সমবেদনা জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং জানায়, শোক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীকে লেখেন- আমি বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে এবং ব্যক্তিগতভাবে নিজের পক্ষ থেকে আপনাকে গভীর শোক ও সমবেদনা জানাই।
শেখ হাসিনা বলেন, রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের আকস্মিক মৃত্যুতে যুক্তরাজ্যের জনগণের প্রতি আপনার (ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী) মাধ্যমে আমাদের আন্তরিক শোক ও সমবেদনা জানাই। শোকাহত রাজপরিবারের সদস্য এবং যুক্তরাজ্যের শোকহত জনগণের সঙ্গে আমরাও রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রানি এলিজাবেথ শুধুমাত্র কমনওয়েলথ ভুক্ত দেশগুলোর ২.৫ বিলিয়ন জনগণের স্তম্ভ এবং শক্তিই ছিলেন না বরং তিনি ছিলেন উদারতা, মর্যাদা, প্রজ্ঞা এবং সেবার প্রতিক।
শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বের সমসাময়িক হিসাবে সবচেয়ে কিংবদন্তী এবং দীর্ঘতম রাজত্বকারী রাজা হিসেবে দ্বিতীয় এলিজাবেথ বিশ্বের অগণিত মানুষের কাছে কর্তব্য, সেবা এবং ত্যাগের দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন। বাংলাদেশে ব্রিটেনের রানির দু’টি ঐতিহাসিক সফরের কথা আমাদের দেশের জনগণ শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে। রানি আমাদের নাগরিকদের কাছে অনুপ্রেরণা, সাহস এবং শক্তির উৎস হয়ে থাকবে।
শেখ হাসিনা লেখেন, যুক্তরাজ্যে ব্রিটেনের রানি এবং বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিকথা, অটোয়া এবং কিংস্টনে দুটি কমনওয়েলথ সরকার প্রধানদের বৈঠক চিরস্মরণী হয়ে থাকবে। এ সময় ২০১৮ সালে বাকিংহাম প্যালেসে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের সঙ্গে আলাপচারিতার কথা স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের আবেগপূর্ণ বার্তা-আমরা বন্ধুত্ব এবং স্নেহের বন্ধনে আবদ্ধ। যেটি আমাদের অংশীদারিত্বের ভিত্তি এবং ৫০ বছর আগের মতো আজও গুরুত্বপূর্ণ।
বার্তার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, দ্বিতীয় এলিজাবেথের দুঃখজনক মৃত্যুতে বাংলাদেশের মানুষ এবং আমি ব্যক্তিগতভাবে শুধু একজন বিশ্বস্ত বন্ধুকেই হারালাম না, একজন প্রকৃত অভিভাবকও হারালাম।