ঘর ভাড়ার ওপর নির্ধারণ করা হোল্ডিং ট্যাক্স আইন বাতিল করার দাবি
আপিলের মাধ্যমে জনদুর্ভোগ না বাড়িয়ে অবিলম্বে গৃহকর আইন-১৯৮৬ বাতিলের উদ্যোগ নিতে মেয়রের প্রতি দাবি জানিয়েছেন চট্টগ্রাম করদাতা সুরক্ষা পরিষদ নেতারা।
শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) মোগলটুলী কাটা বটগাছ এলাকায় সর্দার জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে সভায় সুরক্ষার সভাপতি মো. নুরুল আবছার বলেন, ঘরভাড়ার ওপর গৃহকর নেওয়ার নিয়ম পৃথিবীর কোথাও নেই।
এমনকি বাংলাদেশের কোথাও নেই। চট্টগ্রাম জলাবদ্ধতায় ভোগা এক অবহেলিত নগরী। এখানে এ ধরনের কর নেওয়া মানে মানুষের ওপর আজাব সৃষ্টি করা। তিনি আগামি ২৩ সেপ্টেম্বর কদমতলীতে অনুষ্ঠিতব্য গণমিছিলে যোগ দেওয়ার জন্য চট্টগ্রামবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক মুহম্মদ আমির উদ্দিন বলেন, ২৩ তারিখের গণমিছিল বানচাল করার জন্য মেয়র কিছু দালাল শ্রেণির সর্দার-মাতবর দিয়ে এলাকায় এলাকায় আপিল করার জন্য জনগণের কাছে আপিল ফরম পাঠাচ্ছেন। যা অত্যন্ত দুঃখজনক। নগর পিতা হিসেবে তার দায়িত্ব ছিলো-ঘরভাড়ার ওপর অযৌক্তিক গৃহকর আইন বাতিল করার উদ্যোগ নেওয়া এবং নতুন আইন না হওয়া পর্যন্ত পূর্বের নিয়মে অর্থাৎ বর্গফুটের ভিত্তিতে কর নির্ধারণ করা।
মোজাম্মেল হোসেন জ্যাকির সঞ্চালনায় সভায় সাবেক কাউন্সিলর জান্নাতুল ফেরদৌস পপি বলেন, করপোরেশনে নাগরিক সেবা নেই বললেই চলে। পুরো বর্ষায় এ নগর পানিতে ডুবে থাকে। ড্রেনে পড়ে মানুষ মারা যায়। করপোরেশন এখন দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। একে জনগণের করপোরেশনে ফিরিয়ে আনার এখনি সময়।
সুরক্ষা পরিষদের নেতা হাসান মারুফ রূমী বলেন, ঘরভাড়ার ওপর গৃহকর নেওয়ার জন্য জবরদস্তি করলে ‘কর বিদ্রোহ’ হবে। ভাড়ার ওপর কর নিতে হলে তা আগে ঢাকা থেকে শুরু করুন। অন্যথায় বিগত সময়ে চট্টগ্রামবাসী যেভাবে দাবি আদায় করেছিল এবারও একইভাবে দাবি আদায়ে ধনুর্ভঙ্গ পণ করেছে।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন মুজিবুল হক, নজরুল ইসলাম, সাজ্জাদ হোসেন জাফর, সিদ্দিকুল ইসলাম, মো. জাফর, মো. আলাউদ্দিন, আবদুর রহিম চৌধুরী, আবদুল হালিম, আবুল খায়ের, মোজাম্মেল হক, মুন্না খান প্রমুখ। সভা শেষে নেতৃবৃন্দ মিছিল নিয়ে এলাকা প্রদক্ষিণ করেন।