• সদ্যপ্রাপ্ত সংবাদ

    দখলকৃত এলাকায় ‘গণভোটের’ প্রস্তুতি রাশিয়ার

     

    ইউক্রেনে অধিকৃত চারটি অঞ্চলে গণভোট আয়োজনের দাবি তুলেছে রুশপন্থী নেতারা। ইউক্রেনের এসব উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের রুশ কর্মকর্তারা বলছেন, চলতি সপ্তাহেই রাশিয়ায় যোগদানের জন্য ভোট চান তারা। মঙ্গলবার রাতে এক প্রতিবেদনে এখবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি। 

    ২০১৪ সালে ইউক্রেন থেকে জোরপূর্বক ক্রিমিয়া দখল করে গণভোটের আয়োজন করেছিল রাশিয়া। যা নিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক সমালোচিত হয়। অধিকৃত ক্রিমিয়ায় রাশিয়ার ওই গণভোটের আয়োজনকে কখনই স্বীকৃতি দেয়নি বিশ্ব সম্প্রদায়। এবারের যুদ্ধে গত ফেব্রুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত দখলে নেওয়া ইউক্রেনের এলাকাগুলোয় গণভোটের আয়োজনের দাবি তুলেছে রুশ সমর্থিত কর্তৃপক্ষ। রয়টার্স জানিয়েছে, ইউক্রেনের খেরসন, ডনেস্ক, লুহানস্ক এবং জাপোরিজ্জিয়া অঞ্চলকে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত করতেই গণভোটের আয়োজন চলছে। যা ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডের ১৫ শতাংশ।

    এ প্রসঙ্গে কঠোর সমালোচনা করে ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রি কুলেবা মঙ্গলবার বলেন, ‘জাল গণভোট, কিছুই পরিবর্তন করতে পারবে না।’

    ডনবাসের ডনস্কে ও লুহানস্কের রুশ সমর্থিত কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা আগামী ২৩-২৭ সেপ্টেম্বর ভোট দেবে। ইউক্রেন হামলার নির্দেশের তিন দিন আগে এই দুটি অঞ্চল স্বাধীন হিসেবে স্বীকৃতি দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

    অধিকৃত খেরসনের দক্ষিণ অঞ্চলে রাশিয়ার নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা বলেছেন, তারাও একটি ভোট দেবেন এবং একই রকম ঘোষণা জাপোরিজ্জিয়ার রুশ অধিকৃত এলাকা থেকেও এসেছে। কেউ দূরে থেকেও ভোটে অংশ নিতে পারবেন।

    গত জুলাইয়ে লুহানস্কের অধিকাংশ জায়গা রাশিয়ার দখলে গেলেও সোমবার ইউক্রেনের এক নেতা দাবি করেন, সেখানকার বিলোহোরিভকা নামের একটি গ্রাম পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। এদিকে ডনস্কেরও বেশিরভাগ জায়গা এখন রুশ বাহিনীর নিয়্ন্ত্রণে। দুটি অঞ্চল পুনরুদ্ধারে সম্প্রতি পাল্টা জোরালো আক্রমণ শুরু করেছে কিয়েভ।

    এ অবস্থায় ইউক্রেনের এসব সার্বভৌম অঞ্চলকে রাশিয়ার সঙ্গে অবৈধভাবে সংযুক্ত করলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠবে। যুদ্ধ বন্ধে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে সমাধানের যে কোনও সম্ভাবনা শেষ হওয়ার আশঙ্কা করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

    প্রকাশিত বুধবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২