বামনায় ব্রীজের জরাজীর্ণ অবস্থা, পড়ে স্কুল শিক্ষার্থী আহত।
মো. শাকিল আহমেদ বরগুনাঃ জরাজীর্ণ ব্রীজ পারহতে গিয়ে সোনাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণী পড়ুয়া নীলিমা আক্তার নামে এক শিক্ষার্থী ব্রীজের স্লাপের ফাঁকা দিয়ে খালে পড়ে যাও্যার ঘটনা ঘটেছে। মেয়েটি গুরুতর আহত হয়ে মাথা ফেটে রক্তাক্ত হয়ে যায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়।
বরগুনা জেলার বামনা উপজেলার ২নং বামনা সদর ইউনিয়ন পরিষদের ০৬ নং ওয়ার্ডে এর ১৪ নং পূর্ব সোনাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পূর্ব দিকে (সংলগ্ন) ব্রীজটির জরাজীর্ণ অবস্থা চলাচলের প্রায় অনুপযোগী।
তবে স্কুলের কোমলমতি শিশু ও সোনাখালী গ্রামের বহু মানুষ ঝুকিপূর্ণ এই ব্রীজ দিয়ে চলাফেরা করলেও কতৃপক্ষ ব্রীজটি মেরামত করেনি। ইতিপূর্বে ব্রীজটি নিয়ে বহু খবর প্রকাশ হলেও কতৃপক্ষের টনক নড়েনি।
এই ব্রীজটি দীর্ঘ দিন যাবত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পরে রয়েছে। ব্রীজটি দিয়ে বিশেষ করে,প্রাথমিক স্কুলে পড়ুয়া কোমলমতি শিশুরা প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিদ্যালয়ে আসা যাওয়া করতে হয়।
পর্ত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ সোনাখালি স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণি পড়ুয়া, নীলিমা আক্তার নামে এক শিক্ষার্থী ব্রীজ পার হতে গেলে স্লাপের ফাঁকা দিয়ে খালে পড়ে যায়।
মেয়েটি গুরুতর আহত হয়ে মাথা ফেটে রক্তাক্ত হয়ে যায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়। পরে মেয়েটিকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে বামনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা করানো হয়। মেয়েটি সাঁতার জানে না,এলাকার লোকজন ও স্কুলের অন্যান্য ছাত্র ছাত্রীরা না দেখলে মৃত্যুর মতো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটতে পারতো।
অবিলম্বে ব্রীজটি মেরামত না করলে যেকোনো সময় বিভিন্ন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয় জনগণ।
ব্রীজটি কয়েকটি গ্রামের সংযোগস্থল ও যাতায়াত ব্যবস্থার প্রধান মাধ্যম। এই ব্রীজটির দিয়ে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন পেশার হাজারো মানুষের পারাপার ও যানবাহনের যাতায়াত ব্যবস্থার উত্তম মাধ্যম।
এলাকার জনগন ও স্কুল কর্তপক্ষ অনতিস্বিলম্বে জুরুরী ভিত্তিতে ব্রীজটির পূর্ণ-মেরামত বা নতুন ব্রিজের নির্মানের জন্য বামনা উপজেলা প্রশাসন,বামনা উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধির কাছে দাবি জানান।