বরগুনায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা
মো. শাকিল আহমেদ বরগুনাঃ ঢাকা-বরগুনা রুটে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস ধর্মঘট চলছে।
সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা থেকে বরগুনা-বাকেরগঞ্জ সড়কে ঢাকা-বরগুনা রুটের বাস চলাচলের দাবিতে ওই রুটে বাস ধর্মঘট শুরু হয়।
এদিকে ধর্মঘটে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থী ও চাকরিজীবীসহ সাধারণ যাত্রীরা
পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে। জরুরি প্রয়োজনে অনেকেই হেঁটে হেঁটে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে। এ ছাড়া সিএনজিচালিত অটোরিকশা কিংবা পাঠাও-উবার সার্ভিস চালু থাকলেও ভাড়া চাওয়া হচ্ছে কয়েক গুণ বেশি। তাও চাহিদার ছেয়ে অনেক কম পাওয়া যাচ্ছে এসব যানবাহন।
এর আগে রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকা-বরগুনা রুটে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস চলাচল বন্ধের ঘোষণা দেয় বরগুনা জেলা দূরপাল্লার যাত্রীবাহী পরিবহন পরিচালনা কমিটি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরগুনার পরিবহন পরিচালনা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক এ কে আজাদ বাবলু।
তিনি বলেন, দীর্ঘ দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে বরগুনা-বাকেরগঞ্জ সড়ক দিয়ে ঢাকা-বরগুনা রুটের বাস চলাচল করে। সে সময় ঢাকা থেকে বরগুনার দূরত্ব ১৫ ঘণ্টারও বেশি ছিল। কিন্তু পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর সেই দূরত্ব নেমে আসে মাত্র পাঁচ ঘণ্টায়। এ ছাড়াও পদ্মা সেতুর কারণে ঢাকা থেকে বরগুনার সঙ্গে ফেরিবিহীন নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা শুরু হয়।
তিনি আরও বলেন, রুট পারমিট না থাকার অজুহাতে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর থেকেই বরগুনা-বাকেরগঞ্জ সড়কে ঢাকা-বরগুনা রুটের বাস চলাচল বন্ধ করে দেয় বরিশাল বাস মালিক সমিতি। এতে মির্জাগঞ্জ-পটুয়াখালী কিংবা আমতলী-বরগুনা ফেরি পার হয়ে চলাচল করে ঢাকা-বরগুনা রুটের বাস। এতে ঢাকা-বরগুনা রুটে পাঁচ ঘণ্টার স্থানে সময় লাগে ১০ ঘণ্টারও বেশি। ফলে পদ্মা সেতুর সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এ রুটের যাত্রীরা।
এ বিষয়ে বরগুনার পরিবহন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক সিদ্দিকুর রহমান টুকু বলেন, ‘বরগুনা-বাকেরগঞ্জ সড়কে ঢাকা-বরগুনা রুটের বাস চলাচল করতে না পারায় শুধু যে যাত্রীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন, বিষয়টি এমন নয়। বরিশালের বাস মালিক ও শ্রমিকরা এ রুটের যাত্রী ও বাস শ্রমিকদের মারধরও করেন। বিষয়টি নিয়ে আমরা অনেকের কাছে ধরনা দিয়েও কোনো সুরহা পাইনি। তাই আমরা ধর্মঘটের ডাক দিয়েছি।’প্রতিদিন ঢাকা-বরগুনা রুটে শতাধিক যাত্রীবাহী বাস চলাচল করে বলে জানা গেছে।