আকবরশাহ থানার তৎপরতা, ব্যক্তির হারিয়ে যাওয়া ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা উদ্ধার
নিউজ ডেস্কঃ আকবরশাহ্ থানা পুলিশ তৎপরতায় 'আমার গাড়ী নিরাপদ ডাটাবেজের সহায়তায় অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য দুই ভাই মোঃ ওয়াহিদুল আলম ও মোঃ জাহিদুল আলম পেনশনের টাকা দিয়ে মোটরসাইকেল ক্রয়ের জন্য সীতাকুন্ড এলাকা থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর সকাল ১০.৩০ ঘটিকায় নগদ ১ লক্ষ পঁচানব্বই হাজার টাকা ও একটি হেলমেট কাপড়ের ব্যাগে ভর্তি করে বাসযোগে আসেন নগরীর এ.কে.খান মোড়ে।
প্রকাশিত রবিবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২
সেখান থেকে তারা একটি সিএনজি অটোরিকশায় উঠে টাকা ও হেলমেট ভর্তি ব্যাগটি রাখেন সিএনজি'তে যাত্রীদের বসার সিটের পিছনে।
বহদ্দারহাট গিয়ে তারা ভাড়া পরিশোধ করে ভুলবশতঃ টাকা ভর্তি ব্যাগটি সিএনজি'তে রেখে নেমে পড়েন। পরক্ষণে টাকা ভর্তি ব্যাগের কথা স্মরণ হলেও ততক্ষণে সিএনজি চলে যায় অন্যত্র। অনেকক্ষণ খোঁজাখুঁজি করে কোন উপায় না দেখে তারা আসেন আকবরশাহ্ থানায়।
আকবরশাহ্ থানা পুলিশের একটি টিম নগরীর বিভিন্ন স্থানের প্রায় ৪০টি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে সিএনজি'টি শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। অতঃপর 'আমার গাড়ী নিরাপদ' ডাটাবেজের মাধ্যমে সিএনজি চালকের তথ্য সংগ্রহ করে অদ্য গভীর রাতে নগরীর খুলশী থানাধীন রেলওয়ে স্কুলের পাশ থেকে সিএনজি চালককে আটক করে।
প্রথমে অস্বীকার করলেও জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে সিএনজি চালক টাকা ও হেলমেট তার কাছে থাকার বিষয়টি স্বীকার করে।
আকবরশাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি ওলি উদ্দিন আকবর বলেন, টাকা পাওয়ার পর ইতোমধ্যে সে ১৫ হাজার টাকা খরচও করে ফেলেছে।
বাকী ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা ও হেলমেট উদ্ধার করে আকবরশাহ্ থানা পুলিশ। উদ্ধারকৃত টাকা ও হেলমেট বুঝিয়ে দেয়া হয় দুই ভাই মোঃ ওয়াহিদুল আলম ও মোঃ জাহিদুল আলমের নিকট।
আমার গাড়ি নিরাপদ' ডাটাবেজের সহায়তায় এবং আকবরশাহ্ থানা পুলিশের ৫৪ ঘন্টার প্রচেষ্টায় হাসি ফুটে উঠে দুই ভাইয়ের মুখে।