• সদ্যপ্রাপ্ত সংবাদ

    মুহূর্তেই চলন্ত বাসের মধ্যে ঢুকে যায় আস্ত বিদ্যুতের খুঁটি !

     

    প্রতিদিনের মত নিয়ম করে যাত্রী নিয়ে মহাসড়ক ধরে দ্রুতগতিতে চলছিল বাসটি। কেও কল্পনাও করেননি কী বিপদ অপেক্ষা করছে তাদের জন্য।

    হঠাত বিকট শব্দে ভাঙ্গে গাড়ির সামনের জানালা, মুহূর্তেই আস্ত একটি বিদ্যুতের খুঁটি বাসটির সামনে দিয়ে ঢুকে পেছন দিক দিয়ে বের হয়ে আটকে যায়। চোখের পলকে ক্ষতবিক্ষত হয়ে কাতরানো শুরু করেন যাত্রীরা।

    এ ঘটনায় নিহত হয়েছেন একজন। নিহত ব্যক্তির নাম নজরুল ইসলাম (৩৮)। তিনি মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ের কুমারভোগ এলাকার রাজ্জাকের ছেলে।

    ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ফরিদপুবের গঙ্গাবর্দী নামক স্থানে গতকাল শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে ঘটে ভয়ানক এ দুর্ঘটনা। এতে একজন নিহত ও কমপক্ষে ১৫ যাত্রী আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
    পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও বাসটির আরোহীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মহাসড়কের পাশে ফেলে রাখা বিদ্যুতের খুঁটি ওঠানো হচ্ছিল ক্রেন দিয়ে। এ সময় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা তালুকদার পরিবহনের বাসটি দ্রুতগতিতে চলছিল।

    কিছু বুঝে ওঠার আগেই খুঁটির সরু দিকটা ঢুকে যায় বাসের সামনের দিক দিয়ে। পুরো বাস এফোঁড়-ওফোঁড় করে পেছনের দিক দিয়ে বের হয় খুঁটি। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা মেহেরপুর থেকে ঢাকাগামী জে আর পরিবহনের একটি বাস তালুকদার পরিবহনের বাসটিকে ধাক্কা দিয়ে রাস্তার পাশে খাদের কিনারায় পড়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা খায়।
    দুর্ঘটনার পর আশপাশের লোকজন দ্রুত এগিয়ে এসে বাসযাত্রীদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
    করিমপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শংকর কুমার জানান, খুঁটির আঘাতে তালুকদার পরিবহনের বাসটির অন্তত ১০-১২ জন যাত্রী আহত হন।

    অন্য বাসটিরও পাঁচ যাত্রী আহত হন। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পর একজনের মৃত্যু হয়। আহত তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এর মধ্যে দুজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

    প্রকাশিত শনিবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২