রেলওয়ের ছাপাখানায় নতুন মেশিন, জনবল, বাজেট পেলে রেলওয়ের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব
নুরউদ্দীন খান (সাগর)ঃ স্বাধীনতার পর থেকে মৃত প্রায় তিনটি মেশিন দিয়ে কোনরকম কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ের ছাপাখানা।
অদক্ষ জনবল, ছাপার লক্কর জক্কর মেশিন দিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। দীর্ঘদিন ধরে তিনটি মেশিন দিয়ে কাজ চালালেও বর্তমানে দুইটি মেশিন সচল আছে। আর এই দুই মেশিনের ছাপা দিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের চাহিদা পূরণ করা অসম্ভব হয়ে পড়ছে।
মাঝে মধ্যে মেশিনের ক্রুটি দেখা দিলে সংস্কার করে মেশিনগুলো দিয়ে আবার কাজ চালানো হয়। ১শ ২জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর পদের চাহিদার বিপরীতে কাজ করছেন মাত্র ৫১জন কর্মকর্তা-কর্মচারী। নেই কোন প্রশিক্ষিত মেশিন ম্যান।
সহকারী সুপারভাইজারের মাধ্যমে নতুনদের প্রশিক্ষন দিয়ে মেশিন পরিচালনা করা হচ্ছে। এই ছাপাখানা দিয়ে রেলওয়ের চাহিদা অনুসারে বিভিন্ন ফরম, বই ছাপানো হয়। বর্তমানে রেলওয়ের একশ শতাংশের চল্লিশ শতাংশ ছাপার কাজ এই ছাপাখানায় হয়। বাকিগুলো দরপত্রের মাধ্যমে বাহিরের ছাপাখানা থেকে ছাপানো হয়।
রেলওয়ে ছাপাখানার কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা বলেন, নতুন মেশিন স্থাপন করা হলে রেলওয়ের ছাপা শতভাগ কাজ এই ছাপাখানায় করা সম্ভব। দীর্ঘদিন এই মেশিনগুলো পরিবর্তন না করায় তিনটি থেকে একটি মেশিন অকেজো হয়ে পড়ে আছে। বাকি দুইটাও অকেজো হওয়ার পথে। মেশিন জরুরী ভাবে পরিবর্তন করা প্রয়োজন বলে মনে করেন কর্মকর্তারা।
ছাপাখানায় কর্মরত সহকারী সুপারভাইজার তারেক জানান দীর্ঘদিন ধরে এই তিনটি মেশিন দিয়ে রেলের একতৃতীয়াংশ ছাপার চাহিদা পূরণ করা হচ্ছে। এখন একটি মেশিন অকেজো। লোকবলও অনেক কম। নতুন মেশিন ও প্রশিক্ষিত জনবল হলে সহজে কাজ করা সম্ভব হবে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রন কর্মকর্তা প্রকৌশলী ফরিদ আহমেদ বলেন, বর্তমানে মেশিনগুলো দিয়ে আমরা রেলওয়ের অধিকাংশ চাহিদা পূরণের চেষ্টা করছি। যদি নতুন মেশিন প্রশিক্ষিত জনবল এবং পর্যাপ্ত বাজেট পাওয়া যায় তাহলে রেলওয়ের ছাপার কাজে শতভাগ চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে। বর্তমানে যে কাজগুলো আমরা দরপত্রের মাধ্যমে বাহির থেকে করি বিভিন্ন ফরম, ক্যালেন্ডার ও বই সেগুলো আমাদের ছাপাখানায় ছাপানো সম্ভব হবে। এতে বাংলাদেশ রেলওয়ে অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হবে।