লিপ সেকেন্ড থেকে সরে আসছে ফেসবুক
লিপ সেকেন্ডের হিসাব থেকে সরে আসছে ফেসবুক। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটির প্রকৌশলীদের একটি ব্লগপোস্টে এক প্রকৌশলী ও একজন গবেষক সেকেন্ড সম্পর্কে আলোচনা করে দেখান— এটি কীভাবে নেটওয়ার্কের ক্ষতি করছে। আরও দেখান এর সমাধানের মাধ্যমে ফেসবুক কীভাবে আউটেজ এবং ক্লাউডের সমস্যা থেকে রেহাই পেতে পারে।
লিপ সেকেন্ডের ধারণা প্রথম শুরু হয় ১৯৭২ সালে। এর মাধ্যমে কোঅর্ডিনেটেড ইউনিভার্সাল টাইমের (ইউটিসি) সঙ্গে অ্যাডজাস্ট এবং ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক টাইম (টিএআই) ও পর্যবেক্ষণ করা সৌর সময় (ইউটি১) এর পার্থক্য কমিয়ে আনা হয়। এনগেজেট জানায়, এটি অনেক সময় ম্যাচ করে না কিছু অনিয়ম এবং আবহাওয়া ও বিভিন্ন ভূতাত্ত্বিক কারণে পৃথিবীর গতি কমে আসার জন্য। যেমন বড় বড় পাহাড়ে বরফের ক্যাপ গলে যাওয়া এবং পুনরায় জমে যাওয়ার কারণে।
প্রকৌশলীরা জানান, লিপ সেকেন্ডের এই হিসাবের কারণে টেক ইন্ডাস্ট্রিতে বেশ সমস্যা হচ্ছে। ২০১২ সালে ৪০ মিনিটের জন্য আউট হয়ে গিয়েছিল রেডিট। আবার ২০১৭ সালে ক্লাউডফ্লেয়ারের ডিএনএস সার্ভার আক্রান্ত হয়েছিল। একারণে এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঝামেলা এড়াতে ফেসবুক গুগল বা অ্যামাজনের মতো অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে একত্রিত হয়ে স্মেয়ারিং নামে একটি পদ্ধতি বের করে। এই পদ্ধতিতে লিপ সেকেন্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে ঘড়ি কয়েক ঘণ্টা ধীর করে নেওয়া হয়। এক্ষেত্রে ফেসবুক ১৭ ঘণ্টা তার ঘড়ি ধীর করেছিল। অপরদিকে গুগল ২৪ ঘণ্টা তার ঘড়ি ধীর করে রাখে। এতে করে লিপ সেকেন্ড নেটওয়ার্কে কোনও প্রভাব ফেলতে পারে না।
কিন্তু মেটা এই স্মেয়ারিং পদ্ধতিকে আর সমর্থন দিতে চাচ্ছে না। তাদের সাম্প্রতিক পোস্টে এমনই ইঙ্গিত দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। ইউটিসির এই সময় অ্যাডজাস্ট করতে ১৯৭২ সাল থেকে এ পর্যন্ত মোট ২৭ সেকেন্ড যোগ করা হয়েছে। ফেসবুক মনে করে, আগামী সহস্রাব্দের জন্য এটা যথেষ্ট।
প্রকাশিত: ২৫ জুলাই ২০২২