• সদ্যপ্রাপ্ত সংবাদ

    দেশে পৌঁছেছে ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমানের মরদেহ

     

    ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে বাংলাদেশি জাহাজ ‘বাংলার সমৃদ্ধি’তে রকেট হামলায় নিহত থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমানের মরদেহ দেশে পৌঁছেছে।টার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি যাত্রীবাহী ফ্লাইটে সোমবার দুপুর সোয়া ১২টায় তার মরদেহ ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়।

    এর আগে রবিবার মরদেহ আসার কথা থাকলেও ইস্তাম্বুলে ভারী তুষারপাতের কারণে ঢাকাগামী ফ্লাইটটি বাতিল হয়ে যায়।রবিবার রোমানিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. দাউদ আলী জানিয়েছিলেন, ইস্তাম্বুলে ভারী তুষারপাত হওয়ায় সেখান থেকে ঢাকাগামী ফ্লাইটটি বাতিল করা হয়েছে।

     সব কিছু ঠিক থাকলে সোমবার ১২টা ১৫ মিনিটে অন্য একটি ফ্লাইট হাদিসুরের মরদেহ নিয়ে ঢাকায় পৌঁছাবে।গত শুক্রবার হাদিসুরের মরদেহ ইউক্রেন থেকে মালদোভায় পৌঁছায়। সেখান থেকে মরদেহ শনিবার সকালে রোমানিয়ায় পৌঁছায়।

     পরে রোমানিয়া স্থানীয় সময় রাত পৌনে ১০টায় বুখারেস্ট থেকে নাবিক হাদিসুরের মরদেহ টার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি কার্গো ফ্লাইটে ঢাকার উদ্দেশে রওনা করে। ফ্লাইটটি ইস্তাম্বুলে পৌঁছানোর পর ভারী তুষারপাতে বাতিল হয়।বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন (বিএসসি) মালিকানাধীন বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজটি ভারতের মুম্বাই থেকে তুরস্ক হয়ে গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে পৌঁছে। 

    সেখান থেকে সিমেন্ট ক্লে নিয়ে ২৪ ফেব্রুয়ারি ইতালির রেভেনা বন্দরের উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা ছিল ডেনিশ কোম্পানি ডেল্টা করপোরেশনের অধীনে ভাড়ায় চলা জাহাজটির।এর মধ্যে ইউক্রেনে রাশিয়া হামলা শুরু করলে অলভিয়া সমুদ্রবন্দরে ২৯ জন নাবিক নিয়ে আটকে পড়ে জাহাজ। এ অবস্থার মধ্যে গত ২ মার্চ জাহাজটিতে রকেট হামলা হয়। এতে জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমান মারা যান।

     ৩ মার্চ বেঁচে যাওয়া ২৮ নাবিককে উদ্ধার করে নিরাপদ বাংকারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে সীমান্ত পেরিয়ে রোমানিয়া যান নাবিকরা। পরে গত বুধবার দুপুর ১২টার দিকে টার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ২৮ নাবিক ফিরে আসেন।

    হাদিসুরের গ্রামের বাড়ি বরগুনার বেতাগীর হোসনাবাদে।


    প্রকাশিত: সোমবার ১৪ মার্চ ২০২২