মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে শিক্ষার্থীকে পরপর চার ডোজ টিকা দিলেন নার্স
নেত্রকোনার মদনে এক শিক্ষার্থীকে কয়েক মিনিটের ব্যবধানে করোনাভাইরাসের চার ডোজ টিকা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি জানাজানি হলে অভিযুক্ত নার্সকে কৌশলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ সরিয়ে নিয়েছে বলে দাবি ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর স্বজনদের। চার ডোজ টিকা পাওয়া শিক্ষার্থী মদনের শহীদ স্মরণিকা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী।
ওই শিক্ষার্থী ও তার পরিবারের অভিযোগ, শনিবার সকাল থেকে মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। বেলা সাড়ে ১০টার দিকে সে টিকা নিতে মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রবেশ করে। টিকাদান কার্যক্রমের দায়িত্বে থাকা এক নার্স মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে শিক্ষার্থীকে পরপর চার ডোজ টিকা দিয়ে দেন। পরে ওই শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়লে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে শিক্ষার্থীর মা ও স্বজনরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসার আগেই অভিযুক্ত নার্সকে সরিয়ে নেয় কর্তৃপক্ষ।
ওই শিক্ষার্থীর মা বলেন, ‘আমার মেয়েকে পরপর চার ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। এতে সে কিছুটা অসুস্থ হয়ে পড়েছে। বিষয়টি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক রিফাত সাঈদকে জানাতে গেলে, তিনি আমার সঙ্গে উল্টো খারাপ আচরণ করেন। বর্তমানে আমি আমার মেয়েকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।’
চিকিৎসক রিফাত সাঈদ বলেন, ‘ওই শিক্ষার্থীকে চার ডোজ টিকা দেওয়া নার্সকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। এ নিয়ে শিক্ষার্থীর স্বজনদের সঙ্গে কথা হয়েছে। কারও সঙ্গে কোনও খারাপ আচরণ করা হয়নি।’
এ বিষয়ে মদন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে ওই শিক্ষার্থী ও তার স্বজনদের সঙ্গে আমি কথা বলেছি। তাকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। মনোযোগী হয়ে টিকা দিতে সব নার্সদের সর্তক করেছি। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে।’
প্রকাশিত: শনিবার ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২২