আমার টেবিল চাপড়ে প্রয়োজনে কাজ বাগিয়ে নেবেন: শামীম ওসমান
জেলার পাঁচ এমপির মধ্যে সবচেয়ে বেশি উন্নয়ন কাজ এনেছেন বলে দাবি করেছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমান। তিনি বলেন, ‘চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা প্রয়োজনে আমার টেবিল চাপড়ে এলাকার উন্নয়ন কাজ বাগিয়ে নেবেন।
তাহলে বুঝতে পারবো আপনার এলাকার কাজ দরকার। যেমন আমার দরকার হলে আমি তাই করি। সংসদে সবচেয়ে লম্বা মানুষ আমি। আমাকে কাজ দিবে না, এটা হবে না। জেলার অন্য চারজন এমপির চেয়ে বেশি কাজ এনেছি। আজকে এলজিইডিতে একটি প্রকল্প পাস হবে। রবিবার আশা করি একনেকে চলে যাবে।
এটা হলে ফতুল্লা এলাকাতে কোনও রাস্তাঘাট ড্রেন বাকি থাকবে না।’বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকালে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের নম পার্কে সদর উপজেলার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের নিয়ে এক মতবিনিময় সভায় শামীম ওসমান এসব কথা বলেন। এসময় উন্নয়নের নানা দিক তুলে ধরে শামীম ওসমান বলেন, যখনই আপনি ভালো কাজ শুরু করবেন। অনেকের সাপোর্ট পাবেন।
আবার দেখবেন নারায়ণগঞ্জের দুই-একটি পত্রিকায়, সোশ্যাল মিডিয়াতে উল্টাপাল্টা মন্তব্য লেখা হবে। যখনই ভালো কাজ করবেন তখনই আপনাদের বিরুদ্ধে লেখা হবে। ভালো কাজে বাধা আসবেই। মনে রাখবেন আপনাদের ভাই শামীম ওসমান আপনাদের সঙ্গে থাকবে।
ধাক্কা তো দূরের কথা, একটি ফুলের পাপড়িও পড়তে দিবো না। আগে আমার গায়ে পড়বে পরে আপনাদের গায়ে পড়বে।আলোচিত এমপি শামীম ওসমান আরও বলেন, আমার কাছে রাজনীতি হচ্ছে ইবাদত । মানুষকে ভালোবাসা, মানুষের সাথে ভালো ব্যবহার করা। আগামী দু’বছর আমি রাজনীতিটা সম্পূর্ণ অন্যভাবে করবো। আগেও করেছি, তবে এবার একটু পরিকল্পনা অনুযায়ী করতে চাই।
আপনারা যারা যারা আমার সাথে আসতে চান, আসতে পারেন, না আসলেও সমস্যা নাই। যদি বিরুদ্ধে থাকেন, বিরুদ্ধেই থাকেন। আমার কোনও আপত্তি নাই। তিনি কবরের মাটিতে শ্মশানের মাটি ফেলার বিষয়টি স্মরণ করে বলেন, ‘আমার বাবা মা ভাইয়ের কবর নিয়ে একটি ঘটনা ঘটেছিল। সেই কষ্টের কারণে আমি অসুস্থ। আমি তখন বলেছিলাম যারা এ কাজ করেছেন তারা যেন গোপনে হলেও আল্লাহর কাছে মাফ চেয়ে নেন।
শামীম ওসমান বলেন, রাস্তার পাশে ১০ বক্তব্য দিয়ে আমার চৌদ্দ গোষ্ঠী উদ্ধার করা হচ্ছে। নারায়ণগঞ্জের ত্বকী হত্যা নিয়ে দোকানদারি করা হচ্ছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে তথ্য প্রমাণসহ যতটুকু আমি জানি সংবাদ সম্মেলন করবো। আমি দাবি করবো হত্যাকাণ্ডের বিচার যেন দ্রুতগতিতে হয়।
শামীম ওসমান বলেন, আমি সব হত্যার বিচার চাই। আমার ২০ জনকে হত্যা করেছে বিচার পাই নাই। আমার পারভেজ ও মাকসুদকে যারা হত্যা করেছে সেটা আমি জানতে চাইবো। তাই বলবো অত বেশি বাড়াবাড়ি করবেন না। আমি অচিরেই মূল তথ্য-প্রমাণসহ সবাইকে জানাবো। আমাদের কর্মীরা ক্ষেপে আছেন, তাদের রাগ উঠে গেছে। তারা উত্তেজিত। বিভিন্ন সময়ে খারাপ কথা বলা হচ্ছে। আমাদের লোকজন প্রচণ্ডভাবে রাগান্বিত, তাদের বলছি ধৈর্য ধরে থাকেন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা রিফাত ফেরদৌস, চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান নাজিমউদ্দিন আহমদ, নারী ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা মনির ও বিভিন্ন ইউনিয়নের নির্বাচিত চেয়ারম্যানরা।
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২