শ্রীপুরে বনভূমি উজাড় হওয়ার অন্যতম কারণ করাত কল!
মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, গাজীপুরঃ- সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্যেও শ্রীপুর উপজেলার নয়টি ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে অবৈধ ভাবে গড়ে উঠেছে করাতকল। বিভিন্ন সংরক্ষিত বন থেকে গাছ কেটে এনে এই করাতকলগুলােতে বিক্রি করছে চোরাকারবারিরা। নিয়মিত কাঠ আসছে এবং তা ফাড়াই করছে করাতকল গুলোতে।
বন কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে ও কর্মকর্তাদের চোখের আড়ালে স্থানীয় কিছু অসাধু ব্যাবসায়ীর সাথে যোগাসনে বনের কাঠ দিয়ে জমে উঠেছে করাতকলের মালিকদের কাঠের ব্যবসা। সব কিছু মিলিয়ে বনভূমি উজাড় হওয়ার পেছনে এটাও একটি অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
জানা যায়, করাতকল চালানাের জন্য সরকারের বনবিভাগ থেকে লাইসেন্স নেওয়ার কথা থাকলেও বেশিরভাগ করাতকল মালিক তা মানছে না।
উপজেলার ৯ টি ইউনিয়নে প্রায় শতাধিক করাতকল রয়েছে। যার মধ্যে বেশির ভাগ অবৈধভাবে চলছে লাইসেন্স বিহীন। বন বিভাগ সূত্রে পাওয়া তথ্যানুসারে, উপজেলায় শতাধিক করাতকলের মধ্যে বৈধ করাতকলের সংখ্যা খুবই কম।
উপজেলার গাজীপুর, নিজমাওনা, বাঁশবাড়ী, আনন্দ বাজার, রাজাবাড়ি , কাওরাইদ, নান্দিয়া সাংজুই, শিমুলতলা, বলদিঘাট বাজার, কাশেমপুর বাজার, জৈনা বাজার, তেলিহাটী, বিধাই, আবদার, টেংরা বাজার, মুলাইদ, নয়নপুর বাজার, নয়াপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় করাতকল বৈধভাবে চলছে।
এর বাইরেও প্রতিটি ইউনিয়নে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা করাতকল রয়েছে আরও বেশি।
সরেজমিনে দেখা যায়, নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও উপজেলার বাঁশবাড়ি,নিজমাওনা, কাওরাইদ এলাকার সংরক্ষিত বনের এক - দুই কিলােমিটারের মধ্যে বেশ কয়েকটি করাতকল অবৈধভাবে গড়ে উঠছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক করাতকল মালিক বলেন, সরকারের বিধিমালার ভেতরে থেকে আমরা ব্যবসা করতে চাই। তবে আমাদের করাতকলের পাশে বন থাকায় আমরা লাইসেন্স পাচ্ছি না। আমি ইতােমধ্যে সব কাগজপত্র জমা দিয়েছি। শ্রীপুর বন কর্মকর্তা আনিছুল হক এবিষয়ে কোন বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
শ্রীপুর বনবিভাগ অফিস সূত্র জানায়, উপজেলার সকল করাতকল মালিকদের কাছে লাইসেন্সের জন্য প্রয়ােজনীয় কাগজপত্র চাওয়া হয়েছে। এদের কাগজপত্র সরকারি বিধিমালা অনুসারে যাচাই বাছাই করে লাইসেন্স দেওয়া হবে। ইতােমধ্যে পৌরসভায় কিছু লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বেশিরভাগ করাতকল সরকারের বিধিমালা না মেনেই গড়ে উঠেছে। যারা বিধিমালা মানছেননা সেই সকল করাতকল লাইসেন্স পাবে না।
ইতােমধ্যে উপজেলায় যারা সরকারের বিধিমালার মধ্যে রয়েছে তাদের লাইসেন্স দেওয়ার বিষয় পক্রিয়াধীন রয়েছে। যেসব করাতকলে বনের কাঠ কাটছে তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে এছাড়া অল্প সময়ের মধ্যে সব অবৈধ করাতকলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রকাশিত: বুধবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০
বন কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে ও কর্মকর্তাদের চোখের আড়ালে স্থানীয় কিছু অসাধু ব্যাবসায়ীর সাথে যোগাসনে বনের কাঠ দিয়ে জমে উঠেছে করাতকলের মালিকদের কাঠের ব্যবসা। সব কিছু মিলিয়ে বনভূমি উজাড় হওয়ার পেছনে এটাও একটি অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
জানা যায়, করাতকল চালানাের জন্য সরকারের বনবিভাগ থেকে লাইসেন্স নেওয়ার কথা থাকলেও বেশিরভাগ করাতকল মালিক তা মানছে না।
উপজেলার ৯ টি ইউনিয়নে প্রায় শতাধিক করাতকল রয়েছে। যার মধ্যে বেশির ভাগ অবৈধভাবে চলছে লাইসেন্স বিহীন। বন বিভাগ সূত্রে পাওয়া তথ্যানুসারে, উপজেলায় শতাধিক করাতকলের মধ্যে বৈধ করাতকলের সংখ্যা খুবই কম।
উপজেলার গাজীপুর, নিজমাওনা, বাঁশবাড়ী, আনন্দ বাজার, রাজাবাড়ি , কাওরাইদ, নান্দিয়া সাংজুই, শিমুলতলা, বলদিঘাট বাজার, কাশেমপুর বাজার, জৈনা বাজার, তেলিহাটী, বিধাই, আবদার, টেংরা বাজার, মুলাইদ, নয়নপুর বাজার, নয়াপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় করাতকল বৈধভাবে চলছে।
এর বাইরেও প্রতিটি ইউনিয়নে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা করাতকল রয়েছে আরও বেশি।
সরেজমিনে দেখা যায়, নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও উপজেলার বাঁশবাড়ি,নিজমাওনা, কাওরাইদ এলাকার সংরক্ষিত বনের এক - দুই কিলােমিটারের মধ্যে বেশ কয়েকটি করাতকল অবৈধভাবে গড়ে উঠছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক করাতকল মালিক বলেন, সরকারের বিধিমালার ভেতরে থেকে আমরা ব্যবসা করতে চাই। তবে আমাদের করাতকলের পাশে বন থাকায় আমরা লাইসেন্স পাচ্ছি না। আমি ইতােমধ্যে সব কাগজপত্র জমা দিয়েছি। শ্রীপুর বন কর্মকর্তা আনিছুল হক এবিষয়ে কোন বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
শ্রীপুর বনবিভাগ অফিস সূত্র জানায়, উপজেলার সকল করাতকল মালিকদের কাছে লাইসেন্সের জন্য প্রয়ােজনীয় কাগজপত্র চাওয়া হয়েছে। এদের কাগজপত্র সরকারি বিধিমালা অনুসারে যাচাই বাছাই করে লাইসেন্স দেওয়া হবে। ইতােমধ্যে পৌরসভায় কিছু লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বেশিরভাগ করাতকল সরকারের বিধিমালা না মেনেই গড়ে উঠেছে। যারা বিধিমালা মানছেননা সেই সকল করাতকল লাইসেন্স পাবে না।
ইতােমধ্যে উপজেলায় যারা সরকারের বিধিমালার মধ্যে রয়েছে তাদের লাইসেন্স দেওয়ার বিষয় পক্রিয়াধীন রয়েছে। যেসব করাতকলে বনের কাঠ কাটছে তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে এছাড়া অল্প সময়ের মধ্যে সব অবৈধ করাতকলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।