মহিপুরে ৬৫বছরের বৃদ্ধ কর্তৃক দৃষ্টি প্রতিবন্ধী যুবতী ধর্ষন, ধর্ষক গ্রেফতার
রাসেল কবির মুরাদ, কলাপাড়া-পটুয়াখালীঃ- মহিপুরে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী যুবতীকে ৬৫ বছরের বৃদ্ধ কর্র্তক ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ইউনিয়ন পরিষদে সরকারের বরাদ্ধকৃত সুবিধা দেয়ার নাম করে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী অসহায় ওই যুবতীকে দীর্ঘ সাত মাস ধরে লাগাতার ধর্ষণ করে আসছে প্রতিবেশী বৃদ্ধ কাদের প্যাদা (৬৫)। অভিযুক্ত বৃদ্ধ কাদের প্যাদা (৬৫) কে বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মহিপুর থানা পুলিশ আটক করেছে অভিযোগ প্রমানিত হলে তার বিরুদ্ধে আইনানূগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে পুলিশ জানান। মহিপুর থানার ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নের মনসাতলী গ্রামের সিকদার বাড়ি বাঁধঘাট এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটেছে।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, কৃষক মো: নাসির মোল্লার বাড়িতে প্রতিবেশি মো: কাদের প্যাদা (৬৫) প্রায় সময়ই আসা-যাওয়া করার এক পর্যায়ে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী যুবতী (২০) এর সাথে সখ্যতা গড়ে ওঠে। অসহায় যুবতীকে ইউনিয়ন পরিষদে বরাদ্দকৃত সুবিধাসহ নানা প্রলোভন দেখিয়ে ৭ মাস পর্যন্ত ধর্ষণ করে আসছে। কাদের প্যাদা অত্র এলাকার চরিত্রহীন ও মামলাবাজ নামে পরিচিত। অতীতেও তার নামে এরকম একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর কাদের প্যাদা তার স্ত্রী মোসা: সায়েরা খাতুন (৫৫) কে তালাক দিয়ে যুবতীকে বিবাহের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু যুবতীর পরিবার এ প্রস্তাব প্রত্যাখান করে।
এ বিষয়ে যুবতী বলেন, কাদের প্যাদা আমাদের বাসায় সব সময় আসা যাওয়া করতো। আমার মা তাকে জামাই বলে ডাকতো। তাই আমিও তাকে স্বামী মনে করতাম, তাই কাদের প্যাদা আমাদের নিজ বাসায় ও পার্শ¦বর্তী সমবয়সী হনুফাদের বাসায় বসে আমার সাথে সাত মাস ধরে শারিরীক মেলামেশা করতো। কাদের প্যাদা তাকে বিবাহ করবে বলেও ওয়াদা করেছে।
যুবতীর মা বলেন, আমি বিভিন্ন সময় বাড়ির বাহিরে থাকতাম। আমার মেয়ে ১০ বছর যাবৎ প্রতিবেশী হনুফার বাসায় থাকতো, শুধু খাবারের সময় বাসায় আসতো। হনুফার বাসায় থাকা অবস্থায় এমন কথা আমি শুনে হনুফাকে জিজ্ঞাস করলে, হনুফা সেটা অস্বীকার করে। এর পর থেকে আমার মেয়েকে আমি নজরে রাখি। হনুফার সাথে কাদের প্যাদার খারাপ সম্পর্ক আছে। হনুফা কাদের প্যাদার সাথে সম্পর্ককে ঢাকতে যোগসাজসে এখন আমার প্রতিবন্ধী মেয়ের উপরে দোষ চাপিয়ে দিয়ে সে সাধু সাজতে চেষ্টা করছে। তিনি আরও বলেন, জনপ্রতিনিধিদের কাছে বিচার চাইতে গেলে কাদের প্যাদা ও তার লোকজন বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। তিনি এবং তার পরিবার প্রতিদিনই ভয়ে দিন পার করছেন। ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করে যুবতীর মা বলেন, আমার মেয়ের নামে দূর্নাম রটিয়ে বৃদ্ধ কাদের প্যাদা বিবাহ করতে চায়।
এমন অভিযোগ প্রতিবেশী হনুফা অস্বীকার করে বলেন দু’জনের সম্মতিতে দীর্ঘদিন শাররীক সম্পর্ক চলে আসছে। যা এলাকার সবাই জানে।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শাখাওয়াত হোসেন নান্নু ও সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নাজমা বেগম বলেন, আমরা এ ঘটনা শুনে ঘটনাস্থলে যাই। এসময় প্রায় অর্ধশতাধিক স্থানীয় মানুষের সামনে অভিযুক্ত কাদের প্যাদা ধর্ষণের কথা অস্বীকার করে তবে বিবাহের প্রস্তাব পাঠিয়েছে বলে নিজে স্বীকার করে। স্থানীয়রা বলেন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী রোখসোনা তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক আছে এবং তাকে বিয়ে করবে বলে উপস্থিত লোকজনের সামনে জানিয়েছে।
এবিষয়ে ডালবুগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান আ: ছালাম সিকদার বলেন, ঘটনাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। একটি পক্ষ কাদের প্যাদাকে ফাঁসাতে অপ-প্রচার চালাচ্ছে।
মহিপুর থানার ভারপ্রপ্তি কর্মকর্তা (ওসি) মো: মনিরুজ্জামান বলেন, অভিযোগ শুণে কাদের প্যাদাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে আইনানূগ ব্যবস্থা নেবেন বলে তিনি জানান।
প্রকাশিত: শুক্রবার ০৪, সেপ্টেম্বার ২০২০
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, কৃষক মো: নাসির মোল্লার বাড়িতে প্রতিবেশি মো: কাদের প্যাদা (৬৫) প্রায় সময়ই আসা-যাওয়া করার এক পর্যায়ে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী যুবতী (২০) এর সাথে সখ্যতা গড়ে ওঠে। অসহায় যুবতীকে ইউনিয়ন পরিষদে বরাদ্দকৃত সুবিধাসহ নানা প্রলোভন দেখিয়ে ৭ মাস পর্যন্ত ধর্ষণ করে আসছে। কাদের প্যাদা অত্র এলাকার চরিত্রহীন ও মামলাবাজ নামে পরিচিত। অতীতেও তার নামে এরকম একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর কাদের প্যাদা তার স্ত্রী মোসা: সায়েরা খাতুন (৫৫) কে তালাক দিয়ে যুবতীকে বিবাহের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু যুবতীর পরিবার এ প্রস্তাব প্রত্যাখান করে।
এ বিষয়ে যুবতী বলেন, কাদের প্যাদা আমাদের বাসায় সব সময় আসা যাওয়া করতো। আমার মা তাকে জামাই বলে ডাকতো। তাই আমিও তাকে স্বামী মনে করতাম, তাই কাদের প্যাদা আমাদের নিজ বাসায় ও পার্শ¦বর্তী সমবয়সী হনুফাদের বাসায় বসে আমার সাথে সাত মাস ধরে শারিরীক মেলামেশা করতো। কাদের প্যাদা তাকে বিবাহ করবে বলেও ওয়াদা করেছে।
যুবতীর মা বলেন, আমি বিভিন্ন সময় বাড়ির বাহিরে থাকতাম। আমার মেয়ে ১০ বছর যাবৎ প্রতিবেশী হনুফার বাসায় থাকতো, শুধু খাবারের সময় বাসায় আসতো। হনুফার বাসায় থাকা অবস্থায় এমন কথা আমি শুনে হনুফাকে জিজ্ঞাস করলে, হনুফা সেটা অস্বীকার করে। এর পর থেকে আমার মেয়েকে আমি নজরে রাখি। হনুফার সাথে কাদের প্যাদার খারাপ সম্পর্ক আছে। হনুফা কাদের প্যাদার সাথে সম্পর্ককে ঢাকতে যোগসাজসে এখন আমার প্রতিবন্ধী মেয়ের উপরে দোষ চাপিয়ে দিয়ে সে সাধু সাজতে চেষ্টা করছে। তিনি আরও বলেন, জনপ্রতিনিধিদের কাছে বিচার চাইতে গেলে কাদের প্যাদা ও তার লোকজন বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। তিনি এবং তার পরিবার প্রতিদিনই ভয়ে দিন পার করছেন। ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করে যুবতীর মা বলেন, আমার মেয়ের নামে দূর্নাম রটিয়ে বৃদ্ধ কাদের প্যাদা বিবাহ করতে চায়।
এমন অভিযোগ প্রতিবেশী হনুফা অস্বীকার করে বলেন দু’জনের সম্মতিতে দীর্ঘদিন শাররীক সম্পর্ক চলে আসছে। যা এলাকার সবাই জানে।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শাখাওয়াত হোসেন নান্নু ও সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নাজমা বেগম বলেন, আমরা এ ঘটনা শুনে ঘটনাস্থলে যাই। এসময় প্রায় অর্ধশতাধিক স্থানীয় মানুষের সামনে অভিযুক্ত কাদের প্যাদা ধর্ষণের কথা অস্বীকার করে তবে বিবাহের প্রস্তাব পাঠিয়েছে বলে নিজে স্বীকার করে। স্থানীয়রা বলেন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী রোখসোনা তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক আছে এবং তাকে বিয়ে করবে বলে উপস্থিত লোকজনের সামনে জানিয়েছে।
এবিষয়ে ডালবুগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান আ: ছালাম সিকদার বলেন, ঘটনাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। একটি পক্ষ কাদের প্যাদাকে ফাঁসাতে অপ-প্রচার চালাচ্ছে।
মহিপুর থানার ভারপ্রপ্তি কর্মকর্তা (ওসি) মো: মনিরুজ্জামান বলেন, অভিযোগ শুণে কাদের প্যাদাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে আইনানূগ ব্যবস্থা নেবেন বলে তিনি জানান।
প্রকাশিত: শুক্রবার ০৪, সেপ্টেম্বার ২০২০