ময়মনসিংহ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সদস্যদের অনাস্থা, তদন্ত পৃর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী
মোঃ ফজলুল হক ভুইয়া, ময়মনসিংহঃ- ময়মনসিংহ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনে জেলা পরিষদের সদস্যবৃন্দ ৯ সেপ্টেম্বর দুপুর ১টায় ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে। জেলা পরিষদের সদস্যদের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা পরিষদের সদস্য মোঃ আব্দুল খালেক।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠানের বিরুদ্ধে অনিয়ম দূর্নীতি, সেচ্ছাচারীতা, অশালীন আচরন, আত্মীয়করন এবং প্রকল্প গ্রহনে একক সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিয়ে সরকারের সুনাম বিনষ্ট করার অভিযোগ আনেন। গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী মহোদয়কে বিষয়টি তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য অভিযোগকারীরা দাবী জানান।
লিখিত বক্তব্যে জেলা পরিষদ সদস্যগন জানান, গত ২৩ অক্টোবর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইউসুফ খান পাঠানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনয়ন করেছি। তিনি প্রথম সভা থেকেই সদস্যদের প্রতি তুচ্ছ তাছিল্য ভাব প্রদর্শন করে আসছেন। এমনকি সদস্যগনের প্রতি প্রায়ই অশালীন আচরন ও ভাষা প্রয়োগ করে আসছেন। এ পর্যন্ত সদস্যগনের মতামতকে উপেক্ষা করে স্বেচ্ছাচারী ভাবে তিনি বহু সিদ্বান্ত গ্রহন করেছেন। যার ফলে পরিষদ নানা ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বা ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে। জেলা পরিষদের নিজস্ব স্থাপনায় তিনি একই প্রকল্পে উদ্দেশ্য প্রনোদীত ভাবে প্রতি বছর বরাদ্ধ দিয়ে পরিষদের আর্থিক ক্ষতি সাধন করেছেন। ব্যাক্তি স্বার্থে প্রথম থেকেই জেলার একটি নিদ্রিষ্ট এলাকায় কোটি কোটি টাকা বরাদ্ধ দিয়ে অন্যান্য এলাকাকে বঞ্চিত করেছেন। জেলা পরিষদের বহু কাজে তিনি আত্বীয় স্বজনদের অগ্রাধিকার বা প্রধান্য দিয়েছেন। আত্বীয় স্বজনরা জেলা পরিষদের অন্যায় ভাবে হস্তক্ষেপ করেছেন।
ময়মনসিংহ জেলা পরিষদ আর্থিক দিক দিয়ে বাংলাদেশে অন্যতম সম্বৃদ্ধ পরিষদ হলেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী পালন উপলক্ষ্যে প্রতিশ্রুত কর্মসুচী, করোনা কালিন এবং অন্যন্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় চেয়ারম্যান সাহেবের অনিহার কারনে জনগনের পাশে যথা সময়ে উপযোক্ত ভাবে দাড়াতে পারেনি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উদযাপন ১৫ই আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস পালন সহ জাতীয় বিভিন্ন দিবস পালনে সদস্যগনের সাথে মতবিনিময়ের মাধ্যমে তিনি যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহন করেননি।
শুরু থেকেই চেয়ারম্যান সাহেব ঠিকাদার ও প্রকল্প কমিটির সভাপতির কাছ থেকে উন্নয়ন বরাদ্ধের উপর ১২% হারে ঘুষ গ্রহন করেছেন। যার ফলে উন্নয়ন কাজ অল্প দিনের মধ্যেই বিনষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ময়মনসিংহ জেলা পরিষদের কাজ মানেই নিন্মমানের কাজ এ ধারনা বর্তমানে জনমনে বিদ্যমান। গত ১৭ অক্টোবর জেলা পরিষদের মাসিক সভায় অতীতের মত তিনি একক ও স্বেচ্ছাচারী ভাবে সিদ্ধান্ত নিতে থাকলে উপস্থিত সদস্যগন তাতে প্রতিবাদ করেন।
এক পর্যায়ে চেয়ারম্যান উত্তেজিত হয়ে সভাকক্ষ ত্যাগ করেন। সদস্যগন অনেকক্ষন অপেক্ষা করলেও তিনি সভায় আসেননি বা কারো সাথে যোগাযোগ করেননি। ২৩ অক্টোবর সদস্যগন জেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে মিলিত হয়ে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইউসুফ খান পাঠানের বিরুদ্ধে অসদাচারন, স্বেচ্ছাচারিতা, অদক্ষতা, স্বজনপ্রীতি ও সর্বোপরি দুর্নীতির অভিযোগ এনে অনাস্থা জ্ঞাপন করেন। তারা দাবী করেন অনতি বিলম্বে তদন্ত পুর্বক অনাস্থা কার্যকর করা পর্যন্ত সদস্যবৃন্দ জেলা পরিষদের সকল কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকবে।
এ বিষয়ে গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী মহোদয়, সচিব ও বিভাগীয় কমিশনার বরাবরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রেরন করা হয়েছে বলেও দাবী করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন আলহাজ¦ মোঃ মমতাজ উদ্দিন মন্তা, মো: আব্দুল খালেক, আছমা উল হোছনা, দিলরুবা আক্তার(কাজল), তাজুল আলম বাবলু, মোঃ একরাম হোসেন, মোঃ রুহুল আমিন, মোঃ মহিবুল হক, মোঃআব্দুল্লাহ আল মামুন, মোঃ মোস্তফা কামাল, এইচ এম খায়রুল বাশার, আঞ্জুমান আরা, মোঃ মোজাম্মেল হক, মোঃ আসাদুজ্জামান আকন্দ সাগর, বেগম জোসনারা মুক্তি, মোঃ আবু বক্কর ছিদ্দিক, এ এসএম মজিবুর রহমান প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনে ২০ সদস্যর মধ্যে ১৭ জন উপস্থিত ছিলেন বলে উদ্যেক্তারা দাবী করেন।
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার ১০, সেপ্টেম্বার ২০২০
সংবাদ সম্মেলনে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠানের বিরুদ্ধে অনিয়ম দূর্নীতি, সেচ্ছাচারীতা, অশালীন আচরন, আত্মীয়করন এবং প্রকল্প গ্রহনে একক সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিয়ে সরকারের সুনাম বিনষ্ট করার অভিযোগ আনেন। গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী মহোদয়কে বিষয়টি তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য অভিযোগকারীরা দাবী জানান।
লিখিত বক্তব্যে জেলা পরিষদ সদস্যগন জানান, গত ২৩ অক্টোবর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইউসুফ খান পাঠানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনয়ন করেছি। তিনি প্রথম সভা থেকেই সদস্যদের প্রতি তুচ্ছ তাছিল্য ভাব প্রদর্শন করে আসছেন। এমনকি সদস্যগনের প্রতি প্রায়ই অশালীন আচরন ও ভাষা প্রয়োগ করে আসছেন। এ পর্যন্ত সদস্যগনের মতামতকে উপেক্ষা করে স্বেচ্ছাচারী ভাবে তিনি বহু সিদ্বান্ত গ্রহন করেছেন। যার ফলে পরিষদ নানা ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বা ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে। জেলা পরিষদের নিজস্ব স্থাপনায় তিনি একই প্রকল্পে উদ্দেশ্য প্রনোদীত ভাবে প্রতি বছর বরাদ্ধ দিয়ে পরিষদের আর্থিক ক্ষতি সাধন করেছেন। ব্যাক্তি স্বার্থে প্রথম থেকেই জেলার একটি নিদ্রিষ্ট এলাকায় কোটি কোটি টাকা বরাদ্ধ দিয়ে অন্যান্য এলাকাকে বঞ্চিত করেছেন। জেলা পরিষদের বহু কাজে তিনি আত্বীয় স্বজনদের অগ্রাধিকার বা প্রধান্য দিয়েছেন। আত্বীয় স্বজনরা জেলা পরিষদের অন্যায় ভাবে হস্তক্ষেপ করেছেন।
ময়মনসিংহ জেলা পরিষদ আর্থিক দিক দিয়ে বাংলাদেশে অন্যতম সম্বৃদ্ধ পরিষদ হলেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী পালন উপলক্ষ্যে প্রতিশ্রুত কর্মসুচী, করোনা কালিন এবং অন্যন্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় চেয়ারম্যান সাহেবের অনিহার কারনে জনগনের পাশে যথা সময়ে উপযোক্ত ভাবে দাড়াতে পারেনি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উদযাপন ১৫ই আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস পালন সহ জাতীয় বিভিন্ন দিবস পালনে সদস্যগনের সাথে মতবিনিময়ের মাধ্যমে তিনি যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহন করেননি।
শুরু থেকেই চেয়ারম্যান সাহেব ঠিকাদার ও প্রকল্প কমিটির সভাপতির কাছ থেকে উন্নয়ন বরাদ্ধের উপর ১২% হারে ঘুষ গ্রহন করেছেন। যার ফলে উন্নয়ন কাজ অল্প দিনের মধ্যেই বিনষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ময়মনসিংহ জেলা পরিষদের কাজ মানেই নিন্মমানের কাজ এ ধারনা বর্তমানে জনমনে বিদ্যমান। গত ১৭ অক্টোবর জেলা পরিষদের মাসিক সভায় অতীতের মত তিনি একক ও স্বেচ্ছাচারী ভাবে সিদ্ধান্ত নিতে থাকলে উপস্থিত সদস্যগন তাতে প্রতিবাদ করেন।
এক পর্যায়ে চেয়ারম্যান উত্তেজিত হয়ে সভাকক্ষ ত্যাগ করেন। সদস্যগন অনেকক্ষন অপেক্ষা করলেও তিনি সভায় আসেননি বা কারো সাথে যোগাযোগ করেননি। ২৩ অক্টোবর সদস্যগন জেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে মিলিত হয়ে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইউসুফ খান পাঠানের বিরুদ্ধে অসদাচারন, স্বেচ্ছাচারিতা, অদক্ষতা, স্বজনপ্রীতি ও সর্বোপরি দুর্নীতির অভিযোগ এনে অনাস্থা জ্ঞাপন করেন। তারা দাবী করেন অনতি বিলম্বে তদন্ত পুর্বক অনাস্থা কার্যকর করা পর্যন্ত সদস্যবৃন্দ জেলা পরিষদের সকল কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকবে।
এ বিষয়ে গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী মহোদয়, সচিব ও বিভাগীয় কমিশনার বরাবরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রেরন করা হয়েছে বলেও দাবী করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন আলহাজ¦ মোঃ মমতাজ উদ্দিন মন্তা, মো: আব্দুল খালেক, আছমা উল হোছনা, দিলরুবা আক্তার(কাজল), তাজুল আলম বাবলু, মোঃ একরাম হোসেন, মোঃ রুহুল আমিন, মোঃ মহিবুল হক, মোঃআব্দুল্লাহ আল মামুন, মোঃ মোস্তফা কামাল, এইচ এম খায়রুল বাশার, আঞ্জুমান আরা, মোঃ মোজাম্মেল হক, মোঃ আসাদুজ্জামান আকন্দ সাগর, বেগম জোসনারা মুক্তি, মোঃ আবু বক্কর ছিদ্দিক, এ এসএম মজিবুর রহমান প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনে ২০ সদস্যর মধ্যে ১৭ জন উপস্থিত ছিলেন বলে উদ্যেক্তারা দাবী করেন।
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার ১০, সেপ্টেম্বার ২০২০