• সদ্যপ্রাপ্ত সংবাদ

    কাজীর দূর্নীতিতে গর্ভের সন্তানের স্বীকৃতি পাচ্ছেনা স্কুল শিক্ষিকা

    শাহাদাৎ হোসেন, জয়পুরহাটঃ- মাসুদ রানা নামের সাব কাজীর কারনে জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে ৭ মাসের অন্তঃসত্বা এক প্রাইমারি স্কুল শিক্ষিকা তার গর্ভে থাকা সন্তানের পিতৃপরিচয় না পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। বাধ্য হয়ে তার স্বামী উপজেলার শুকুরমূহী গ্রামের মোতরাজ আলীর ছেলে মাফির বাড়ির দরজায় গিয়ে অন্তঃসত্বা সন্তানের স্বীকৃতি চেয়ে গত দু’দিন যাবৎ অবস্থান করছেন শুকুরমূহী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা লিলুফা আক্তার।

    খবর পেয়ে সরেজমিনে গেলে ওই শিক্ষিকা বলেন, এখানে চাকুরী করার সুবাদে পরিচয় হয় মাফির সঙ্গে। আমার ব্যাক্তিগত সমস্যা মিটিয়ে দেওয়ার কথা বলে মাফি আমাকে একটি বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে জোর পূর্বক আমার আপত্তিকর কিছু ভিডিও ও ছবি ধারন করে ফেসবুকে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ৫ লক্ষ টাকার দাবি করে নানা সময়ে আমার কাছ থেকে আড়াই লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় এবং আমাকে আপত্তিকর কুপ্রস্তাব দিলে আমি বাধ্য হয়ে মেনে তা মেনে নেই।

    এক পর্যায়ে আমি অন্তঃসত্বা হলে তাকে বিয়ের কথা বললে সে আমাকে গত ০৭/০৭/২০ তারিখে ১১ লক্ষ টাকা দেনমহর ধার্য্য করে বিয়ে করে। এখন সেই বিয়ের কাবিন নামা নকল চাইতে গেলে বেলখুর গ্রামের মাসুদ কাজী বলে আমি বিয়ে রেজিষ্ট্র করিনি। বাধ্য হয়ে দুই দিন যাবৎ আমি স্বামীর বাড়ির দরজায় অবস্থান করছি। এ বিষয়ে স্বামী মাফির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওই মেয়ের সঙ্গে আমার কোন সম্পর্ক নেই। সে একজন চরিত্রহীণা মেয়ে। সে এলাকায় ইতিপূর্বে এমন একাধিক ঘটনা ঘটিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। একটি কুচক্র মহলের সঙ্গে যোগসাজসে এলাকায় আমার সন্মান নষ্ট করছে। কাজী মাসুদ রানা বলেন, আমি ওই মেয়েকে চিনিনা। তাহলে বিয়ে রেজিষ্ট্রি করলাম কিভাবে।

    প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার ২০, অগাস্ট ২০২০