বন্যায় রাজশাহীতে ধানের ক্ষতি ৩০ কোটি ৮৯ লক্ষ টাকা
মুকুল হোসেন, বাগমারাঃ- রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার ধান চাষী মফিজ উদ্দিন। প্রতিবছরের মত এই বর্ষায় ৫ বিঘা জমিতে আউশ ধান লাগিয়ে ছিলেন। কিন্তু অতিবৃষ্টি বন্যায় তার পুরো মাঠের ধান ডুবে গেছে। তার ৫ বিঘার মোট ৫০ হাজার টাকার পুঁজি এখন পানিতে নষ্ট হয়েছে।
একই উপজেলার রফিকুল ইসলাম তিনি প্রায় সাড়ে চারবিঘা জমিতে আউশ ধান লাগিয়েছিলেন তার জমির ধানও পানিতে তলিয়ে নষ্ট হয়েছে। এ কারণে তিনি ৪০ হাজার টাকা লোকসান গুনছেন। পুঠিয়া উপজেলার মেরাজুল ইসলাম দেড় বিঘা জমিতে আউশ ধান লাগিয়েছিলেন তার সব ধান এখন পানির নিচে। এমন অবস্থায় তার পাশের জমির অন্য কৃষকেরা ধানের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সম্মিলিতভাবে তাদের জমিতে মাছ ৫০ হাজার টাকার মাছ ছেড়েছেন।
তাহেরপুর পৌরসভার কৃষক সাজেদুর রহমানও কয়েক বিঘা জমিতে আউশ ধান রোপন করেছিলেন। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। পরবর্তীতে জমিতে একটু পানি কমায় তিনি নতুন করে এখন রোপা-আমন ধান লাগাচ্ছেন। সাজেদুর জানান, কিছু করার নেই জমি তো ফেলে রাখতে পারবো না!
মোহনপুর উপজেলার কৃষক শামসুদ্দিন তার ধানও নষ্ট হয়েছে। তিনি নতুন করে এখন জমিতে রোপা-আমন ধান লাগাচ্ছেন।
রাজশাহীতে এবার ধান, পানসহ শাকসবজি ও বিভিন্ন ফসলে মোট ৩২ হাজার ৩৪৪ জন কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অফিস সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহীতে এই বর্ষা মৌসুমে রোপা-আমন ধানের আগে ৫০ হাজার ৯৭০ হেক্টর আউশ ধান রোপণ করা হয়েছিলো। কিন্তু অতিবৃষ্টির কারণে জেলার কয়েটি উপজেলায় বন্যা হয়। এই বন্যায় কয়েক উপজেলার দুই হাজার ৭০০ হেক্টর জমির ধান পানিতে ডুবে নষ্ট হয়েছে। যার বর্তমান বাজার মূল্য ৩০ কোটি ৮৯ লক্ষ টাকা। আর কৃষকের এ ক্ষতি রক্ষার্থে এখন কাজ করছে রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
চলতি মৌসুমে এবার রাজশাহীর উপজেলাতে মোট ৫০ হাজার ৯৬০ হেক্টর জমিতে আউশ ধানের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়। প্রতি বছরের মত এবারো জেলার তানোর ও গোদাগাড়ী উপজেলায় এলাকায় সবচেয়ে বেশি মৌসুমী ধান রোপন করা হয়েছে। আর মাত্রাতিরিক্ত জলাবদ্ধতার কারণে জেলার বাগমারা, মোহনপুর, দুর্গাপুর, পুঠিয়ায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শামছুল হক জানান, বর্ষায় এবার বন্যার কারণে কৃষিতে মোট ৪০ কোটি ৬৩ লক্ষ ৪৬ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে। এর মাঝে ধানের ক্ষতি ৩০ কোটি ৮৯ লক্ষ। ৩২ হাজার কৃষকের ক্ষতি হয়ে গেছে। আমরা কৃষকের ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নিতে ৪ হাজার কৃষকে বিনামূল্যে মাসকালাই বীজ ও তিন হাজার ২০০ কৃষককে সার ও বীজ দিচ্ছি।
তিনি জানান, উপজেলার মাঝে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মোহনপুর ও বাগমারা। এখানে কৃষকের ধান তলিয়ে গেছে। তাদের লিস্ট করা হচ্ছে সরাসরিভাবে তাদের জন্য কাজ করবো আমরা।
প্রকাশিত: সোমবার ৩১, অগাস্ট ২০২০
একই উপজেলার রফিকুল ইসলাম তিনি প্রায় সাড়ে চারবিঘা জমিতে আউশ ধান লাগিয়েছিলেন তার জমির ধানও পানিতে তলিয়ে নষ্ট হয়েছে। এ কারণে তিনি ৪০ হাজার টাকা লোকসান গুনছেন। পুঠিয়া উপজেলার মেরাজুল ইসলাম দেড় বিঘা জমিতে আউশ ধান লাগিয়েছিলেন তার সব ধান এখন পানির নিচে। এমন অবস্থায় তার পাশের জমির অন্য কৃষকেরা ধানের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সম্মিলিতভাবে তাদের জমিতে মাছ ৫০ হাজার টাকার মাছ ছেড়েছেন।
তাহেরপুর পৌরসভার কৃষক সাজেদুর রহমানও কয়েক বিঘা জমিতে আউশ ধান রোপন করেছিলেন। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। পরবর্তীতে জমিতে একটু পানি কমায় তিনি নতুন করে এখন রোপা-আমন ধান লাগাচ্ছেন। সাজেদুর জানান, কিছু করার নেই জমি তো ফেলে রাখতে পারবো না!
মোহনপুর উপজেলার কৃষক শামসুদ্দিন তার ধানও নষ্ট হয়েছে। তিনি নতুন করে এখন জমিতে রোপা-আমন ধান লাগাচ্ছেন।
রাজশাহীতে এবার ধান, পানসহ শাকসবজি ও বিভিন্ন ফসলে মোট ৩২ হাজার ৩৪৪ জন কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অফিস সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহীতে এই বর্ষা মৌসুমে রোপা-আমন ধানের আগে ৫০ হাজার ৯৭০ হেক্টর আউশ ধান রোপণ করা হয়েছিলো। কিন্তু অতিবৃষ্টির কারণে জেলার কয়েটি উপজেলায় বন্যা হয়। এই বন্যায় কয়েক উপজেলার দুই হাজার ৭০০ হেক্টর জমির ধান পানিতে ডুবে নষ্ট হয়েছে। যার বর্তমান বাজার মূল্য ৩০ কোটি ৮৯ লক্ষ টাকা। আর কৃষকের এ ক্ষতি রক্ষার্থে এখন কাজ করছে রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
চলতি মৌসুমে এবার রাজশাহীর উপজেলাতে মোট ৫০ হাজার ৯৬০ হেক্টর জমিতে আউশ ধানের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়। প্রতি বছরের মত এবারো জেলার তানোর ও গোদাগাড়ী উপজেলায় এলাকায় সবচেয়ে বেশি মৌসুমী ধান রোপন করা হয়েছে। আর মাত্রাতিরিক্ত জলাবদ্ধতার কারণে জেলার বাগমারা, মোহনপুর, দুর্গাপুর, পুঠিয়ায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শামছুল হক জানান, বর্ষায় এবার বন্যার কারণে কৃষিতে মোট ৪০ কোটি ৬৩ লক্ষ ৪৬ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে। এর মাঝে ধানের ক্ষতি ৩০ কোটি ৮৯ লক্ষ। ৩২ হাজার কৃষকের ক্ষতি হয়ে গেছে। আমরা কৃষকের ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নিতে ৪ হাজার কৃষকে বিনামূল্যে মাসকালাই বীজ ও তিন হাজার ২০০ কৃষককে সার ও বীজ দিচ্ছি।
তিনি জানান, উপজেলার মাঝে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মোহনপুর ও বাগমারা। এখানে কৃষকের ধান তলিয়ে গেছে। তাদের লিস্ট করা হচ্ছে সরাসরিভাবে তাদের জন্য কাজ করবো আমরা।