• সদ্যপ্রাপ্ত সংবাদ

    চট্টগ্রামের সিটি নির্বাচন স্থগিত


    নভেল করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে থাকায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে।ভাইরাসটির প্রকোপ থাকা পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে।

    আগামী ২৯ মার্চ চট্টগ্রামের পাশাপাশি বগুড়া-১, যশোর-৩ সংসদীয় আসনে উপনির্বাচনও হওয়ার কথা ছিল।

    তিনটি নির্বাচনই স্থগিতের সিদ্ধান্ত শনিবার জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা।

    শনিবার (২১ মার্চ) দুপুর ১টার দিকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সভাকক্ষে নির্বাচন স্থগিত হবে কি-না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

    বৈঠক শেষে নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, ২১ মার্চের পরে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ থাকা পর্যন্ত আর কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে না দেশে।

    প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।

    তফসিল অনুযায়ী, আগামী ২৯ মার্চ চট্টগ্রাম সিটির ভোটগ্রহণ হওয়ার কথা ছিল। এ নির্বাচনে বৈধ ছয় প্রার্থী হলেন- আওয়ামী লীগের এম রেজাউল করিম চৌধুরী, বিএনপির শাহাদাত হোসেন, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের এমএ মতিন, পিপলস পার্টির আবুল মনজুর, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মুহাম্মদ ওয়াহেদ মুরাদ ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. জান্নাতুল ইসলাম। এছাড়া কাউন্সিলর পদে ২ শতাধিক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রয়েছেন।

    ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করেছিল ইসি। এ সিটির মেয়াদ শেষ হবে ২০২০ সালের ৫ আগস্ট। নির্বাচনী আইন অনুযায়ী, ৫ আগস্টের পূর্ববর্তী ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

    অন্যদিকে, গত ১৮ জানয়ারি বগুড়া-১ আসন আর যশোর-৬ আসনটি শূন্য হয়েছে ২১ জানুয়ারি। সংবিধান অনুযায়ী, আসন শূন্য হওয়ার পরবর্তী নব্বই দিনের মধ্যে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এক্ষেত্রে বগুড়া-১ আসনে ১৬ এপ্রিল আর যশোহর-৬ আসনে ১৯ এপ্রিলের মধ্যে ভোটগ্রহণ করতে হবে।

    এ বিষয়ে বিকেলে ইসি সচিব মো. আলমগীর সংবাদ সম্মেলনে বলেন, দৈব-দুর্বিপাক হলে নির্বাচন বাতিল করার ক্ষমতা সংবিধান প্রধান নির্বাচন কমিশনকে দিয়েছে। এক্ষেত্রে নব্বই দিনের জন্য নির্বাচন স্থগিত করা যায়। এক্ষেত্রে আমরা ১৮০ দিনের মতো সময় পাব। তবে আশা করি যথাসময়েই নির্বাচনগুলো সম্পন্ন করতে পারব।

    তিনি বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যখন বলবে, আর ঝুঁকি নেই, তখনই আমরা নির্বাচন করব। এক্ষেত্রে যে পর্যায়ে এসে নির্বাচন স্থগিত করা হলো, সেই পর্যায় থেকেই আবার নির্বাচনের কার্যক্রম শুরু হবে। এজন্য নতুন করে মনোনয়নপত্র নেওয়া হবে না। যে প্রার্থীরা আছেন, তারাই থাকবেন। যেখানে প্রশিক্ষণ হয়েছে, সেখানে প্রশিক্ষণ হবে না। যেখানে প্রশিক্ষণ হয়নি, সেখানে হবে।


    প্রকাশিত:শনিবার, ২১ মার্চ, ২০২০