• সদ্যপ্রাপ্ত সংবাদ

    ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তাণ্ডবে জেলায় জেলায় ক্ষয়ক্ষতি ।

    ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চল। এখন পর্যন্ত খুলনার দাকোপ ও দিঘলিয়ায় ১ জন করে, পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে ১ জন, বরগুনা সদরে ১ জন এবং সাতক্ষীরায় ১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। গতকাল শনিবার রাতে থেকে আজ রোববার বেলা ১১টা পর্যন্ত পৃথক সময়ে এসব হতাহতের ঘটনা ঘটে।

    সংবাদ মাধ্যম ও স্থানীয় প্রতিনিধিদের তথ্যানুযায়ী, খুলনা জেলার দাকোপে গাছের নিচে চাপা পড়ে প্রমীলা মণ্ডল(৫২) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি দক্ষিণ দাকোপ গ্রামের সুভাষ মন্ডলের স্ত্রী। সারারাত আশ্রয়কেন্দ্রে থাকার পর রোববার সকালে বাড়িতে ফিরলে ৯টার দিকে গাছচাপায় তার মৃত্যু হয়।

    পাশাপাশি, খুলনার দিঘলিয়া উপজেলায় সকালে গাছ পরে আলমগীর হোসেন (৪০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন দিঘলিয়া থানার ওসি মল্লিক মোর্শেদ। আজ রোববার সকাল ৯টায় বাড়ির পাশে সজনে গাছ গায়ে ভেঙে পড়ায় গুরুতর আহত হন তিনি। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালে নেয়ার পথে আলমগীরের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আবদুর রহমান নামে আরেকজন আহত হন।

    এদিকে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের উত্তর রামপুর এলাকায় ঝড়ের সময় গাছ ভেঙে ঘরচাপায় হামেদ ফিকির (৬৫) নামে এক বৃদ্ধ মারা গেছেন। তিনি মৃত ইয়াসিন ফকিরের ছেলে।

    অন্যদিকে বরগুনা সদরের ডিএন কলেজ আশ্রয়কেন্দ্রে হালিমা খাতুন (৬৫) নামে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। তার বাড়ি সদর উপজেলার বানাই গ্রামে।

    এছাড়া সাতক্ষীরার দাবুড়া আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফেরার পথে বুলবুলের তাণ্ডব দেখে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে আবুল কালাম নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। আজ রোববার সকাল ১১টায় এ ঘটনা ঘটে।

    কুয়াকাটা পৌরসভার কাউন্সিলর শাহআলম হাওলাদার জানান, সাগর ও নদী ঘেঁষা বাঁধের বাইরের বসতিদের বেশকিছু কাঁচা ঘর ভেঙে পানিতে তলিয়ে গেছে।

    ইউএনবির পটুয়াখালী প্রতিনিধি জানান, কুয়াকাটায় সাগর প্রচণ্ড উত্তাল অবস্থায় রয়েছে। রাঙ্গাবালীর চরআন্ডায় বেড়িবাধের ভাঙ্গা অংশ থেকে পানি ঢুকে তলিয়ে গেছে পুরো চরটি। সেখানে একটি মাত্র আশ্রয় কেন্দ্র থাকায় চরবাসীকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

    এদিকে, জোয়ারের প্রভাবে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় উপকুলের ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। কলাপাড়ার লালুয়া চাড়িপাড়ার ভাঙ্গাবাধ দিয়ে রাবনাবাদ নদীর পানি প্রবেশ করে ১০ গ্রামের মানুষ ভোগান্তিতে রয়েছেন।

    অপরদিকে, পটুয়াখালী-কুয়াকাটা সড়কের কয়েকটি স্থানে বাতাসের তোড়ে গাছ উপড়ে পরেছে। জেলার বিভিন্ন স্থানে আমন ফসলি ক্ষেতেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পাকা ও আধাপাকা ধানের গাছ পানিতে তলিয়ে গেছে।

    প্রসঙ্গত, রবিবার ভোর ৫টার দিকে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ পশ্চিমবঙ্গ- সুন্দরবন সংলগ্নসহ খুলনা উপকূল অতিক্রম করে।


    প্রকাশিত: রবিবার, ১০ নভেম্বর, ২০১৯