মুস্তাফিজের অপেক্ষায় বাংলাদেশ।
ভারতের বিপক্ষে টি-২০ সিরিজের দুই ম্যাচ দেখার পর ক্রিকেটপ্রেমীদের মুখে মুস্তাফিজ, বাঁহাতি এই পেসারের ফরমহীনতা। বল হাতে প্রত্যাশা পুরনে ব্যর্থ তিনি। ব্রেক থ্রু দিতে পারেননি, রান আটকানোর কাজেও সফল নন। উইকেটের দেখাও পাচ্ছেন না। সবমিলিয়ে ভারত সফরে মুস্তাফিজ এখনো সাদামাটা-বিবর্ণ এক পেসার।
পেস আক্রমণের মূল ভরসা ধরা হয় তাকে। মুস্তাফিজের ছন্দে ফেরার অপেক্ষায় আছেন বাংলাদেশের হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। তার আশা দ্রুতই ম্যাচ উইনিং পারফরম্যান্স উপহার দিবেন বাঁহাতি এই পেসার।
দুই ম্যাচের কোনোটিতেই চার ওভার বোলিং করা হয়নি মুস্তাফিজের। প্রথম ম্যাচে ২ ওভারে ১৫ রান দিয়ে উইকেট শূন্য ছিলেন। দ্বিতীয় ম্যাচে ৩.৪ ওভারে দিয়েছেন ৩৫ রান। এই ম্যাচেও উইকেট পাননি। চলতি বছরে গতকাল পর্যন্ত খেলা ছয়টি টি-২০ ম্যাচে তার শিকার মাত্র ৪ উইকেট। রান দিয়েছেন উদারহস্তে।
ডমিঙ্গো অবশ্য মুস্তাফিজের ওপর ভরসা হারাচ্ছেন না। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে তরুণ এই পেসার সম্পর্কে ডমিঙ্গোর কথা নিয়ে বিডিনিউজ লিখেছে, ‘সে মানসম্পন্ন একজন বোলার। সে ম্যাচ উইনার ও আমাদের সবচেয়ে অভিজ্ঞ বোলারদের একজন। আমরা জানি, একটা বড়ো পারফরম্যান্সের খুব কাছাকাছি আছে সে। এই সংস্করণে বোলারদের ওপর বেশ চাপ থাকে, বিশেষ করে দারুণ ব্যাটিং দলের বিপক্ষে ভালো উইকেটে যদি আপনাকে ভেজা বলে বল করতে হয়।’
শফিউল ছাড়া বাংলাদেশের পেসাররা উইকেটের দেখা পাচ্ছেন না। তার পরও পেস আক্রমণ নিয়ে চিন্তিত নন ডমিঙ্গো। গতকাল তিনি বলেছেন, ‘প্রথম ম্যাচে আমরা ভালো বোলিং করেছিলাম। দ্বিতীয় ম্যাচে, দারুণ উইকেটে অসাধারণ একজন ব্যাটসম্যানের বিপক্ষে আমাদেরকে ভেজা বলে বোলিং করতে হয়েছিল। টি-২০ ক্রিকেটে এমনটা ঘটে। তাই, পেস বোলিং নিয়ে তেমন কোনো দুশ্চিন্তা নেই।’
এদিকে আজ শেষ টি-২০ তে খেলতে নামার আগে বাংলাদেশ শিবিরে যোগ হয়েছে নতুন শঙ্কা। নাগপুরে আজ মুস্তাফিজ ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে পাওয়া নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। গতকাল সকাল ১০টা থেকে নাগপুরে অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ। তবে মুস্তাফিজ-মোসাদ্দেক অনুশীলন করেননি। মুস্তাফিজ কিছুক্ষণ রানিং করলেও মোসাদ্দেক ড্রেসিংরুম থেকেই বের হননি। কুঁচকির চোটে ভুগছেন এই তরুণ অলরাউন্ডার। মুস্তাফিজ অনুশীলন করেননি পুরোনো গোড়ালির চোট বাড়ায়। তাই আজ শেষ ম্যাচে তাদের খেলা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।
ব্যাটিংয়ে সময়টা ভালো যাচ্ছে না মোসাদ্দেকেরও। প্রথম ম্যাচে ব্যাটিংয়ে নামতেই হয়নি তাকে। শুধু ১ ওভার বোলিং করেছিলেন। দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচে ৯ বলে অপরাজিত ৭ রান ও ১ ওভার বোলিং করে ২১ রান দিয়েছেন তিনি। তার ওভারের প্রথম ৩ বলেই ছক্কা মেরেছিলেন রোহিত শর্মা। শেষ পর্যন্ত তারা না খেলতে পারলে বাংলাদেশের একাদশে পরিবর্তন আসবে। সম্ভাব্য বিকল্প হিসেবে আলোচনায় আছে মোহাম্মদ মিঠুন ও আবু হায়দার রনির নাম।
প্রকাশিত: রবিবার, ১০ নভেম্বর, ২০১৯