• সদ্যপ্রাপ্ত সংবাদ

    বিএনপির আস্থা নেই জনগণের ওপর: তথ্যমন্ত্রী

    তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন,অহেতুক বিএনপি নেতারা বারবার নালিশ করতে বিদেশিদের কাছে যায়। জনগণ বিএনপিকে ব্যঙ্গ করে 'বাংলাদেশ নালিশ পার্টি' বলে। দলটি দেশের জনগণের চেয়ে বিদেশিদের ওপর আস্থা বেশি। এটা প্রমাণ করে, দেশের জনগণের ওপর বিএনপির আস্থা নেই।
    Hasan mahmud-digontonewsbd.com

    বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, বারবার কূটনীতিকদের সঙ্গে বসার মাধ্যমে বিএনপি প্রমাণ করেছে– তাদের জনসম্পৃক্ততা নেই। বিদেশিদের ওপরই তাদের ভরসা বেশি। যাদের জনভিত্তি নেই, তারাই বারবার কূটনীতিকদের কাছে যায়। বিএনপি বিদেশিদের ডেকে নালিশ করে। এটা বিএনপির জন্য সত্যিই লজ্জার বিষয়।

    বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আগামী অক্টোবর থেকে আন্দোলনের কথা বলেছেন। এ বিষয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, এটা কোন বছরের অক্টোবর, সেটি নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে অনেকের। মির্জা ফখরুল সাহেব কথা বলার ক্ষেত্রে অত্যন্ত সফল, কিন্তু কার্যক্ষেত্রে বিফল। কারণ, তার দল গত দশ বছর ধরে বলে আসছে, ঈদ, শীত, গরম, বার্ষিক পরীক্ষার পর আন্দোলন করবে। এভাবে আন্দোলনের তারিখ ঘোষণা করেও তারা কোনও আন্দোলন গড়ে তুলতে পারেনি।

    বিএনপির আন্দোলনের সক্ষমতা আছে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রকৃতপক্ষে বিএনপির সঙ্গে জনগণের সম্পৃক্ততা নেই। জনগণ তো দূরের কথা, তারা যে আন্দোলনের হুমকি দিচ্ছেন, সেখানে তাদের সঙ্গে নিজেদের কর্মীরাও নেই। যে নেতারা হাইকোর্টে বোরকা পরে হাজির হয়, তাদের ওপর কর্মীদের আস্থা থাকার কথা নয়।

    ঋণখেলাপিদের নিয়ে বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্য প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি ব্যাপক এগিয়েছে। গত সাড়ে ১০ বছরে বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার তিনগুণের বেশি বেড়েছে। প্রবৃদ্ধি অর্জনেও সবার ওপরে বাংলাদেশ। প্রকৃতপক্ষে, ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে না দেওয়ার সংস্কৃতি জিয়া (জিয়াউর রহমান) শুরু করে গেছেন।

    তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর থেকে বাংলাদেশে খেলাপি ঋণের পরিমাণ আগের তুলনায় অনেক কমেছে। যেহেতু অর্থনীতির আকার বড় হয়েছে, সেজন্য পুরো চিত্রটা বদলে গেছে। এর জন্যই ঋণের পরিমাণ বড় মনে হচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে, শতকরা হিসাবে সেটি আগের তুলনায় অনেক কমেছে।

    মন্ত্রী বলেন, ঋণখেলাপি নিয়ে বিএনপির কথা বলার অধিকার নেই। কারণ, তারা যখন ক্ষমতায় ছিল, বাংলাদেশ পরপর পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।মানণীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার দুর্নীতিবিরোধী নানা পদক্ষেপের কারণে বাংলাদেশের অনেক উন্নয়ন হয়েছে। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।